ক্রমেই জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রহস্য। বুধবার সংবাদমাধ্যমের সামনে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেছেন সুশান্তের পরিবারের আইনজীবী সঞ্জয় সিং। এদিন তিনি জানান, ফেব্রুয়ারি মাসের ২৫ তারিখ সুশান্তের পরিবারের তরফে বান্দ্রা পুলিশের ডিসিপিকে জানানো হয়েছিল সুশান্ত সিং রাজপুত ভালো সঙ্গতে নেই এবং তাঁর জীবন সংকটে রয়েছে। সেই সময় সুশান্ত পুরোপুরিভাবে রিয়ার কন্ট্রোলে ছিল। কিন্তু মু্ম্বই পুলিশের তরফে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তিনি একটি সর্বভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে জানান, ‘আমাদের কাছে সমস্ত প্রমাণ রয়েছে। যা উপযুক্ত জায়গায় আমরা পেশ করব’।
বিকাং সিং আরও বলেন, বিহার পুলিশও এই মামলায় এফআইআর দায়েরে রাজি ছিল না। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের নির্দেশ পেয়ে তবেই এই মামলার তদন্ত করতে রাজি হয়েছেন তিনি।হাই প্রোফাইল এই কেসে বহু প্রতিভাশালী ব্যক্তিদের নাম জড়িয়ে রয়েছে। সঞ্জয় সিংয়ের কথায়,'মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার আমাদের অনুরোধ মেনে এই মামলায় হস্তক্ষেপ করবার পরেই বিহার পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছে'।
মঙ্গলবার সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তে চাঞ্চল্যকর মোড় আসার পর থেকেই সরগরম নেটদুনিয়া। এদিন সামনে আসে রিয়া ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে সুশান্তকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়াসহ একাধিক ধারায় অভিযোগ এনে এফআইআর দায়ের করেছে সুশান্তের পরিবার। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ (আত্মহত্যায় প্ররোচনা), ৩৪১,৩৪২,৩৮০, ৪০৬, ৪২০-ধারায় রিয়ার পুরো পরিবারের বিরুদ্ধে পাটনার রাজীব নগর থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন সুশান্তের বাবা কেকে সিং।
রিয়া চক্রবর্তীকে অবলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন সুশান্তের পরিবারের আইনজীবী। তাঁকে জেরা করা অত্যন্ত জরুরি বলেই মনে করছেন তিনি। অন্যদিকে এফআইআর দায়ের খবর প্রকাশ্যে আসবার পর থেকেই ‘বেপাত্তা’ রিয়া। জানা গিয়েছে তাঁর আইনজীবী সতীশ মানেসিন্ধে সুপ্রিম কোর্টে তাঁর মক্কেলের হয়ে একটি পিটিশন দায়ের করেছেন। যেখানে পাটনা পুলিশের কাছে দায়ের করা এফআইআর মুম্বইয়ে ট্রান্সফার করার আবেদন জানানো হয়েছে।
মুম্বই পুলিশের তদন্তে যে খুশি নয় সুশান্তের পরিবার তা বেশ স্পষ্ট। অভিনেতার মৃত্যুর ৪৫ দিন পরেও কোনও উল্লেখযোগ্য তথ্য অধরা তাঁদের হাতে। বুধবার সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে কেকে সিংয়ের আইনজীবী বিকাশ সিং জানান, 'পাটনায় এফআইআর এখন দায়ের করা হয়েছে কারণ পরিবার একটা শকের মধ্যে ছিল এবং মুম্বই পুলিশ এফআইআর দায়ের করছিল না। তাঁরা বেশ কিছু বড় প্রযোজক সংস্থা নাম জোর করে জড়ানোর চেষ্টা করছিল এবং মামলাটি অন্যদিকে ঘুরে যাচ্ছিল'।