সদ্য ছেলে হারিয়েছেন ৭৪ বছরের এই অশীতিপর বৃদ্ধ। এবার ছেলের মৃত্যুর বিচার চেয়ে পুলিশ আর আদালতের দরজায় সুশান্ত সিং রাজপুতের বাবা কেকে সিং। কেন মুম্বই পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করল না পরিবার? কেন অভিযোগ জানানো হল পাটনা পুলিশের কাছে? এই মামলায় পাটনা পুলিশের হস্তক্ষেপ এবং মুম্বই পুলিশের ‘একরোখা মনোভাব’ নিয়েও প্রশ্ন উঠছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এর মাঝে সোমবার একটি ভিডিয়ো বার্তা জারি করলেন সুশান্তের বাবা।
সুশান্তের বাবার আইনজীবী সঞ্জয় সিং আগেই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারি মাসের ২৫ তারিখ সুশান্তের পরিবারের তরফে বান্দ্রা পুলিশের ডিসিপিকে জানানো হয়েছিল সুশান্ত সিং রাজপুত ভালো সঙ্গতে নেই এবং তাঁর জীবন সংকটে রয়েছে। একথাই এদিন নিজের মুখে জানালেন কেকে সিং। তিনি বলেন, আমি বান্দ্রা পুলিশকে বলেছিলাম ওর জীবন সংকটে রয়েছে। ও জুনের ১৪ তারিখে মারা গেল। আমি বলেছিলাম ২৫ ফেব্রুয়ারি আমি যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলাম,তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে। ওঁর চলে যাওয়ার ৪০ দিন পরেও কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমি পাটনা পুলিশের এফআইআর দায়ের করেছি'। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া ভিডিয়ো বার্তায় একথা জানান কেকে সিং।
যদিও এদিন সকালে সাংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ২৫ ফেব্রুয়ারিতে সুশান্তের পরিবারের তরফে দায়ের কোনও অভিযোগ সম্পর্কে তাঁর কাছে কোনওরকম তথ্য নেই বলেই দাবি করেন মুম্বই পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিং। তিনি বলেন, ১৬ই জুন পুলিশ যখন সুশান্তের পরিবারের বয়ান রেকর্ড করে তখন তাঁর বাবা কিংবা দিদিদের তরফে কারুর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ বা সন্দেহের আঙুল তোলা হয়নি।
একটি সর্বভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে বিকাশ সিং জানিয়েছিলেন, বান্দ্রা পুলিশের ডিসিপির কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল পরিবার। আমাদের কাছে সমস্ত প্রমাণ রয়েছে। যা উপযুক্ত জায়গায় আমরা পেশ করব’।
বিকাশ সিং আরও বলেন, বিহার পুলিশও এই মামলায় এফআইআর দায়েরে রাজি ছিল না। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের নির্দেশ পেয়ে তবেই এই মামলার তদন্ত করতে রাজি হয়েছেন তিনি।হাই প্রোফাইল এই কেসে বহু প্রতিভাশালী ব্যক্তিদের নাম জড়িয়ে রয়েছে। সঞ্জয় সিংয়ের কথায়,'মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার আমাদের অনুরোধ মেনে এই মামলায় হস্তক্ষেপ করবার পরেই বিহার পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছে'।
গত ২৫ জুলাই রিয়া ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে সুশান্তকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়াসহ একাধিক ধারায় অভিযোগ এনে এফআইআর দায়ের করেছে সুশান্তের পরিবার। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ (আত্মহত্যায় প্ররোচনা), ৩৪১,৩৪২,৩৮০, ৪০৬, ৪২০-ধারায় রিয়ার পুরো পরিবারের বিরুদ্ধে পাটনার রাজীব নগর থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন সুশান্তের বাবা কেকে সিং। যদিও এফআইআরের খবর সামনে আসে তিনদিন পর ২৮শে জুলাই।