অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের রহস্য মৃত্যু মামলায় গ্রেফতার সিদ্ধার্থ পিঠানি। গত ২৬ মে হায়দরাবাদ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (NCB)। বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার হন সিদ্ধার্থ। শুক্রবার মুম্বই এনে আদালতে তোলা হয় পিঠানিকে। বিশেষ আদালত পাঁচদিনের জন্য সিদ্ধার্থ পিঠানির এনসিবি হেফাজত মঞ্জুর করেছে।
প্রসঙ্গত, গত বছর ১৪ জুন বান্দ্রায় নিজের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার হয় প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত দেহ। অভিযুক্ত সিদ্ধার্থ পিঠানি বান্দ্রার একই ফ্ল্যাটে সুশান্তের সঙ্গে থাকতেন। অভিনেতার রহস্য মৃত্যুর পর তাঁর বহু বন্ধুর ছিল পুলিশের আতস কাঁচের নীচে।
অভিনেতার মৃত্যুর পর বলিউডে ড্রাগ ব্যবসা ও স্বজনপোষণ নিয়ে সরব হয় গোটা দেশ। তদন্তের দাবি উঠতেই তলব করা হয় অভিনেতার সঙ্গে যুক্ত বন্ধুদের, তাঁর বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী, একের পর এক অভিনেতা এবং পরিচালকদের। অভিনেতার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী রিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করে সুশান্তের পরিবার। গত বছর সেপ্টেম্বরে মাদককাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন রিয়া। প্রায় একমাস জেলবন্দি থাকার পর আপতত জামিনে মুক্ত রিয়া চক্রবর্তী।
অভিনেতার মৃত্যুর পর মাদককাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে নাম ওঠে বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানির। সুশান্তের মৃত্যুর পর রিয়ার কল রেকর্ড থেকে দেখা গিয়েছিল ওই বছরে সিদ্ধার্থের সঙ্গে প্রায় ১০০ বার কথা হয়েছে তাঁর। বন্ধুর মৃত্যুর পর সুশান্তকে নিয়ে তদন্তকারী সংস্থা এবং সংবাদমাধ্যমের কাছে একাধিক বার কথা বললেও রিয়ার প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান সিদ্ধার্থ।
জানা যায়, ফ্ল্যাটে সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ সিদ্ধার্থ দেখে পুলিসকে খবর দেন। কিছুদিন আগেই বিয়ে করেছেন সিদ্ধার্থ। সিবিআইয়ের তদন্তে সুশান্তের পরিচারকের বয়ান অনুযায়ী সিদ্ধার্থই প্রথম সুশান্তকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেছিলেন। ১৬৪ ধারা অনুযায়ী নীরজ এবং সিদ্ধার্থের বয়ান রেকর্ড করেছিল সিবিআই।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর মামলা বহুবার কেন্দ্রীয় সংস্থার জেরার মুখে পড়েছেন সিদ্ধার্থ পিঠানি। এবার সিদ্ধার্থের গ্রেফতারি কি ফাঁস করবে নয়া কোনো তথ্য? অভিনেতার মৃত্যু রহস্যের নতুন কোনো দিক উঠে আসবে কি? এখন সেটাই দেখার।