ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুত। গত ১৪ জুন অভিনেতার মৃত্যুর পর সেই খবর সামনে আসে। মুম্বই পুলিশের তরফেও জানানো হয় প্রয়াত অভিনেতা মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত ছিলেন এবং তাঁর ঘর থেকেও ডিপ্রেশনের ওষুধ এবং বেশ কিছু প্রেসক্রিপশন পাওয়া গিয়েছে। সুশান্তের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে অভিনেতার মানসিক চিকিত্সা চলছে এই ব্যাপারে কিছুই জানতেন না তাঁরা। রিয়া চক্রবর্তী এই সম্পর্কে কিছুই তথ্য শেয়ার করেননি পরিবারের সঙ্গে। এবার সামনে এল সুশান্তের বড়দিদি নীতু সিংয়ের সঙ্গে সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার তথা রিয়া চক্রবর্তীর বর্তমান ম্যানেজার শ্রুতি মোদির হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট।
ইন্ডিয়া টুডেতে প্রকাশিত সেই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে সুশান্তের রানিদিদি (নীতু সিং) শ্রুতি মোদীর কাছ থেকে প্রয়াত অভিনেতার প্রেসক্রিপশন চেয়ে পাঠিয়েছিলেন। সুশান্তের কী চিকিত্সা হচ্ছে তা জানতে চেয়েছিলেন নীতু সিং। সুশান্তের পরিবারের তরফে দায়ের এফআইআরে নাম রয়েছে শ্রুতি মোদীরও। ইতিমধ্যেই ইডি ও সিবিআই জেরা করেছে শ্রুতিকেও।
২৬ নভেম্বর ২০১৯-এর এই চ্যাটে নীতু লেখেন, ‘শ্রুতি দয়া করে আমাকে চিকিত্সকের প্রেসক্রিপশন পাঠাও’। নীতু এরপর বলেন তিনি সেই চিকিত্সকের সঙ্গে দেখা করতে চান বাড়িতে এবং নির্দিষ্ট সময় জানতে চান। নীতু ঘন্টাখানেক পর চিকিত্সকের প্রেসক্রিপশনের একটি ছবি পাঠান শ্রুতি মোদী।
১৮ নভেম্বরে প্রেসক্রিপশন সেটি, যদিও ইন্ডিয়া টুডের ওই প্রতিবেদনে চিকিত্সকের নাম স্পষ্ট নয়। সেখানে সুশান্তের জন্য সেরটা,ক্লোনোট্রিল, ওলেয়ানজ,কুটিপিন নামের চারটি ওষুধের নাম উল্লেখ রয়েছে। এবং এর সঙ্গে শ্রুতি সুজন ওয়াকের নামের একজন সাইকোথেরাপিস্টের ফোন নম্বর পাঠান নীতু সিংকে।

সুশান্তের প্রাক্তন বান্ধবী অঙ্কিতা লোখান্ডে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, যখন সুশান্তের সঙ্গে ছিলেন তিনি ততদিনে কোনসময়ই মানসিক সমস্যা দেখা দেয়নি সুশান্তের। অভিনেতার বহু প্রাক্তন কর্মীরা জানিয়েছেন সুশান্ত কোনওদিন অবসাদগ্রস্ত ছিলেন না। অন্যদিকে বরখা দত্তকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে সাইকোথেরাপিস্ট সুজন ওয়াক দাবি করেন সুশান্ত বাইপোলার ডিসওর্ডারের শিকার ছিলেন।
রিয়া চক্রবর্তী নিজের সাক্ষাত্কারে সম্প্রতি দাবি করেছেন সুশান্তই নয়, সুশান্তের মা ঊষা দেবীও ডিপ্রেশনের শিকার ছিলেন। তিনি বলেন, ‘মাকে ছাড়া বাঁচাটা খুব কঠিন ছিল সুশান্তের কাছে। উনিও ডিপ্রেশনে ভুগেই মারা যান’।
উল্লেখ্য ২০০২ সালে মৃত্যু হয় সুশান্তের মায়ের। তখন দিল্লিতে পড়াশোনা করতেন সুশান্ত সিং রাজপুত। সুশান্ত নিজে জানিয়েছিলেন ব্রেন হ্যামারেজের কারণে মৃত্যু হয়েছে তাঁর মায়ের।