সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রহস্য আর জোরদার হয়েছে দিনকয়েক ধরে। সোমবারই সুশান্তের ময়নাতদন্তের সঙ্গে জড়িত থাকা এক ব্যক্তি দাবি করেন, তিনি প্রথমেই মৃতদেহ দেখে বুধতে পেরেছিলেন এটা কোনও আত্মহত্যার ঘটনা নয়, বরং খুন। শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্নও প্রত্যক্ষ করেছিলেন। উর্দ্ধতনদের এই ব্যাপারে জানিয়েওছিলেন তিনি।
এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন সুশান্তের দিদি শ্বেতা সিং কীর্তি। সিবিআইকে অনুরোধ করেছেন যাতে তাঁরা এই দিকটা খতিয়ে দেখে। শ্বেতা টুইট করেন, ‘যদি এই দাবিতে এক কণাও সত্যি থাকে তাহলে আমরা সিবিআইকে অনুরোধ করতে চাই এটার দিকে নজর দিন সঠিকভাবে। আমরা সবসময় আশা করে এসেছি আপনারা সঠিক তদন্ত করবেন। এখনও পর্যন্ত কোনও পরিণতি আসেনি ভাবলেও আমাদের বুক ব্যথা করে।’
অন্য দিকে, সুশান্তের আইনজীবী এই প্রসঙ্গে মিডিয়াকে জানিয়েছেন, ‘আমি ই ব্যাপারে কিছুই বলতে পারব না কারণ ওর বোনেরা আমাকে এই নিয়ে কিছুই বলেনি। কিন্তু আমি এখনও বলব সুশান্তের মৃত্যু কোনও সাধারণ আত্মহত্যার ঘটনা নয়। এর পিছনে ছিল বড় ষড়যন্ত্র, যা একমাত্র সিবিআই-ই খুঁজে বের করতে পারবে।’ আরও পড়ুন: ‘সুশান্ত খুন’ নিয়ে মুখ খুললেন তাঁর আইনজীবী, ‘বলেছিলাম কোনও সাধারণ আত্মহত্যা নয়’!

সুশান্তের দিদির টুইট।
প্রসঙ্গত, টিভি নাইন মারাঠিকে রূপকুমার শাহ নামের এক ব্যক্তি যিনি সুশান্তের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করেছেন, জানান ‘ময়নাতদন্ত করতে গিয়ে জানতে পারি, সেটি সুশান্তের দেহ। ওঁর সারা গায়ে বেশ কিছু চিহ্ন ছিল। আর গলা-ঘাড়ের কাছেও তিনটি দাগ ছিল। মৃতদেহের ময়নাতদন্তের ভিডিয়ো রেকর্ড হওয়ার কথা। কিন্তু উচ্চপদস্থরা বলেন, শুধু স্টিল ছবিই তোলা হবে। আমরা সেভাবেই কাজটি করি।’ রূপকুমার নামের ওই ব্যক্তির দাবি তিনি দেখেই বুঝতে পেরেছিলেন এটা আত্মহত্যা নয়, খুন। আর তা তিনি জানিয়েছিলেন নিজের উচ্চপদস্থকে। কিন্তু তাঁর ঊর্ধ্বতন তাঁকে নির্দেশ দেয়, দ্রুত ছবি তুলে কাজ সেরে মৃতদেহ পুলিশকে দিয়ে দিতে।
২০২০ সালের ১৪ জুন উদ্ধার হয় সুশান্ত সিং রাজপুতের দেহ তাঁর মুম্বইয়ের ফ্ল্যাট থেকে। প্রাথমিকভাবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, আত্মহত্যাই করেছেন তিনি। তবে এরপর একাধিক দাবি উঠতে থাকে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে একাংশ। নাম জড়ায় আন্ডারওয়ার্ল্ডেরও। এরপরই তদন্তভার ওঠে সিবিআই-এর হাতে। সঙ্গে সুশান্তের কেসে মাদক ও আর্থিক তছরুপ জড়িত থাকায় ইডি ও এনসিবি যৌথভাবে এই মামলায় তদন্ত চালাচ্ছেন।