চারমাস অতিক্রান্ত তবু অভিনেতা সুশান্ত সিংয়ের মৃত্যুকে ঘিরে চাপান-উতোর এখনও অব্যাহত। দেখতে দেখতে হাজির নবরাত্রির উত্সব। শনিবার ছিল নবরাত্রির প্রথম দিন। এই আবহেই এবার সুশান্তের দিদি শ্বেতা তাঁদের মায়ের একটি ছবি শেয়ার করলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সবাইকে উৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়ে নবরাত্রির প্রারম্ভে দেবীকে প্রণামেরও আগে নিজের মা কে শ্রদ্ধা জানানোটাই দস্তুর বলে জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য প্রয়াত অভিনেতা নিজেও মাকে খুব ভালোবাসতেন বলেই জানিয়েছিলেন তাঁর মনোরোগ চিকিৎসক ডক্টর সুজান ওয়াকার। মাত্র ১৫-১৬ বছর বয়সে মা কে হারান সুশান্ত। সেই আঘাতটা নিতে পারেননি অভিনেতা। মা মারা যাওয়ার পর দিদিদের আঁকড়ে বেড়ে উঠেছিলেন সুশান্ত।
মৃত্যুর আগে সুশান্তের শেষ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টটি ছিল তাঁর মাকে ঘিরে।৩ জুন মায়ের সাদা কালো ছবির কোলাজ শেয়ার করে লেখেন , 'অশ্রুসজলতায় ঝাপসা অতীত আজ বাষ্প হয়ে যায়...।' এর আগেও মায়ের স্মরণে একটি কবিতা লেখেন দিল বেচারা খ্যাত তারকা। কবিতার মর্মার্থ , ' যত দিন তুমি ছিলে , আমি বেঁচে ছিলাম। আর আজ আমার সাথে আজীবন থাকার কথা দিয়েও তুমি চলে গেলে মা !! '
এছাড়া দিদির সাথে পরামর্শ করে ২০১৩ সালে মায়ের স্মৃতিতে নিজের পিঠে ট্যাটুও করিয়েছিলেন বলি তারকা। সেবার হিন্দুস্তান টাইমসকে জানান , ' ট্যাটুটি পাঁচটি উপাদানের প্রতীকী উপস্থাপনা যার কেন্দ্রে রয়েছি আমি আর মা। বোঝাতে চাই এটি এমন একটি অটুট বন্ধন যা সময়ের পক্ষেও অস্বীকার করা ভেঙে ফেলা অসম্ভব।'
গত বছর দূর্গাপুজোর শুরুর দিন মা দূর্গার ছবির সঙ্গে শঙ্করাচার্য রচিত মহিষাসুরমর্দিনী স্তোত্রমের বেশ কয়েকটি লাইন শেয়ার করেছিলেন সুশান্ত। ‘আইগিরি নন্দিনী, নন্দিত-মেদিনী…’ এই লাইনগুলোর সঙ্গে সুশান্ত জুরে দিয়েছিলেন স্বামী বিবেকানন্দর প্রখ্যাত উদ্ধৃতি ‘স্ট্রাগল গড-ওয়ার্ড'। সেই টুইট এদিন সুশান্ত ভক্তদের সঙ্গে পুনরায় ভাগ করে নিলেন শ্বেতা। জানালেন- ‘সুশান্ত অবিনশ্বর’।