সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্ত নিয়ে কার্যত বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে মহারাষ্ট্র ও বিহার সরকার। এখন গোটা দেশের নজর সুপ্রিম কোর্টে রিয়া চক্রবর্তীর পিটিশনের শুনানির দিকে।বিহার পুলিশের কাছ থেকে এই মামলা অবিলম্বে মুম্বই পুলিশের কাছে হস্তান্তরের দাবি জানিয়ে এই পিটিশন দায়ের করেছেন রিয়া,অন্যদিকে মুম্বই পুলিশে যে বিন্দুমাত্র আস্থা নেই সুশান্তের পরিবারের তা বেশ স্পষ্ট। এবার সুশান্তের জন্য ন্যায়বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ সুশান্তের পরিবার।
শনিবার সকালে সুশান্তের দিদি সোশ্যাল মিডিয়ায় খোলা চিঠি লিখলেন নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে। এই পোস্টের ক্যাপশনে শ্বেতা লেখেন, 'আমি সুশান্ত সিং রাজপুতের দিদি এবং আমি অনুরোধ জানাচ্ছি সম্পূর্ন মামলাটি জরুরি ভিত্তিতে খতিয়ে দেখতে। আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে ভারতের বিচার ব্যবস্থার প্রতি এবং আমরা যে কোনও মূল্যে বিচার চাই'।
চিঠিতে কী লিখেছেন শ্বেতা? ‘ মাননীয় স্যার, আমার মন বলছে আমি সত্যের সঙ্গে সবসময় আছেন।আমরা খুব সাধারণ পরিবারের। আমার ভাইয়ের বলিউডে কোনও গডফাদার ছিল না, এখনও আমাদের পাশে কেউ নেই। আমার অনুরোধ আপনি দয়া করে দ্রুত এই মামলাটি একটু দেখুন যাতে সবকিছু সঠিকভাবে খতিয়ে দেখা হয় এবং প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা না করা হয়। আশা করি সত্যিটা সামনে আসবে’।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুশান্ত সিং রাজপুতের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে সূুশান্তের বাবা কেকে সিংয়ের এফআইআর দায়ের খবর সামনে এসেছিল। এরপর থেকেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযো সামনে এসেছে রিয়ার বিরুদ্ধে। সুশান্তের পরিবারের আইনজীবীর তরফে অভিযোগ, 'মুম্বই পুলিশ মদত দিচ্ছে রিয়াকে'। আপতত ‘বেপাত্তা’ রিয়া। তবে শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি ভিডিয়ো বার্তা জারি করেন অভিনেত্রী। যেখানে তিনিও ভারতের বিচার ব্যবস্থার প্রতি নিজের আস্থার কথা বলেন। বলতে শোনা যায়- ‘সত্যমেব জয়তে’।
শুক্রবার রাতে সুশান্তের দিদি শ্বেতা সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালে শেয়ার করে নেন একটি ছবি,সেখানে তিনি সুশান্তের সাদাবোর্ডের ছবি রয়েছে। সুশান্ত নিজের হাতে সেখানে লিখেছেন আগামিদিনে নিজের ওয়ার্কআউট সেশন এবং রোজনামচার প্ল্যানিং লিখে রেখেছেন। শ্বেতার কথায় ২৯ জুন থেকে এই রুটিন মেনে চলার প্ল্যান ছিল সুশান্তের।
ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ভাইয়ের সাদা বোর্ড, যেখানে ও লিখেছে নিজের ওয়ার্কআউট শুরু করবার কথা এবং ধ্যান-চিন্তনে মন দেওয়ার কথা। ও ভবিষ্যতের কথা প্ল্যান করছিল'। শ্বেতার এই পোস্ট ফের একবার প্রশ্ন তুলে দিল যে তাহলে কী সুশান্তের আত্মহত্যার তত্ত্ব মানতে পারছে না পরিবার?