সুশান্ত সিং রাজপুত আমাদের ছেড়ে পারি দিয়েছেন কোনও এক অজানার উদ্দেশ্যে। তাঁর এই ফাঁকি দিয়ে চলে যাওয়াটা মেনে নিতে পারছেন না কেউই। তবুও মন শক্ত করতে হবে,নিজেদের মনের ভিতর বাঁচিয়ে রাখতে হবে সুশান্তের ভাবনাগুলো। একথা ভেবেই সুশান্ত সিং রাজপুতের টিম এক অভিনব শ্রদ্ধাঞ্জলি দিল তাঁদের প্রিয় তারকাকে। সুশান্তের স্মরণে শুরু করল এক ওয়েবসাইট। সুশান্তের জীবন দর্শন,তাঁর ভাবনা,আদর্শ-সব পজিটিভ বিষয়গুলোই লিপিবন্ধ করা হবে এই ওয়েবসাইটে।
আসলে সুশান্ত নিজেই এই ওয়েবসাইট লঞ্চ করতে চেয়েছিলেন। তেমনই উঠে এসেছে তাঁর টিমের বক্তব্যে। ওয়েবসাইটের নাম সেলফমুসিং ডট কম (selfmusing.com),সেকথা ফেসবুক পোস্টে জানায় টিম সুশান্ত সিং রাজপুত।
এই ওয়েবসাইটের বিরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে, সুশান্ত সিং রাজপুত ছিলেন একজন ভারতীয় অভিনেতা,নৃত্যশিল্পী,উদ্যোক্তা, এবং সমাজসেবী। সেলফমুসিং (আত্মচিন্তন) ছিল ওঁনার প্যাশন। যেমনটা ওনাকে কথা দিয়েছিলাম,এই জায়গাটাতে ওঁনার সমস্ত ভাবনা,ইচ্ছা এবং ওঁনার কাছে পাওয়া শিক্ষাগুলো থাকবে। আমরা সুশান্তের সব পজিটিভ এনার্জিগুলো লিপিবদ্ধ করবার কাজ শুরু করেছি,যা কিছু ও ছেড়ে গিয়েছে। বলিউড তো শুধু সুশান্তের ২০ শতাংশ মাত্র, এই জায়গায় আমরা চেষ্টা করব ওর বইয়ের কাজ শেষ করবার। এই জায়গাটা নিশ্চিত করবে সুশান্ত বেঁচে থাকবে আমাদের সবার মধ্যে এবং আমাদেরকে অনুপ্রেরণা দেবে,ওঁর গডফাদারদের,যেটা হলে তোমরা। এই জায়গায় সুশান্তের সব ভাবনা এই পৃথিবীর সঙ্গে আমরা ভাগ করে নেব’।
আসলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেলফ মুসিং হ্যাশট্যাগটা ব্যবহার করতেন সুশান্ত।নিজের লেখা কবিতার সঙ্গে তো অবশ্যই সেলফ মুসিং হ্যাশট্যাগ সঙ্গে থাকত।
রবিবার বান্দ্রার কাটার রোডের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার হয় সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ। আত্মহত্যায় করেছেন অভিনেতা,প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছে পুলিশ।
২০০৮ সালে বালাজি টেলিফ্লিমসের কিস দেশ মে হ্যায় মেরা দিলের সঙ্গে অভিনয় কেরিয়ার শুরু করেন সুশান্ত সিং রাজপুত। প্রথমবার লিড রোলে দর্শক তাকে দেখেছে একতা কাপুরের পবিত্র রিসকা ধারাবাহিকে। রাতারাতি গোটা দেশের মনের মণিকোঠায় মানব হিসাবে জায়গা করে নিয়েছিলেন সুশান্ত। এরপর ২০১৩ সালে কাই পো ছে ছবির সঙ্গে রুপোলি সফর শুরু করেন সুশান্ত। এরপর শুদ্ধ দেশি রোম্যান্স, এম এস ধোনি দ্য আনটোল্ড স্টোরি,রাবতা, সোনচিড়িয়ার মতো ছবিতে অভিনয় করেন সুশান্ত। বক্স অফিসে তাঁর শেষ ছবি ছিল ছিছোড়ে। যদিও নেটফ্লিক্সের ছবি ড্রাইভে শেষবার দেখা গিয়েছে তাঁকে।