চার দিদির আদরের এক ভাই সুশান্ত সিং রাজপুত। বাড়ির ছোটছেলে,ছোটথেকেই বড় হয়েছেন বাবা-মা আর দিদিদের আদরে। সেকথা নিজের মুখে বহু সাক্ষাত্কারে বলতে শোনা গিয়েছে সুশান্তকে।
সুশান্ত যে এমন কিছু একটা করে বসবেন তা ঘুণাক্ষরেও ভাবেননি তাঁর দিদি শ্বেতা।বিয়ের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই পাকাপাকিভাবে থাকেন সুশান্তের দিদি শ্বেতা সিং। ভাইয়ের আত্মহত্যার খবরে স্বভাবতই শকড তিনি। নিজের ফেসবুক পোস্টে শ্বেতা জানিয়েছেন এই খবর জেনে কীভাবে তাঁর পাঁচ বছরের ছেলে সান্ত্বনা দিয়েছে তাঁকে। তিনি লেখেন, যখন আমি নির্বাণকে বললাম মামু আর নেই,ও জবাব দিল কিন্তু তোমার মধ্যেই তো মামা বেঁচে রয়েছে..পরপর তিনবার একই কথা আওরে গেল। যখন একটা পাঁচ বছরের বাচ্চা এইরকম কিছু একটা বলে তখন মনে হয় আমাদের সবাইকে মন শক্ত করতে হবে..সবাই নিজেদের শক্ত কর..বিশেষত সুশান্তের অনুরাগীদের বলছি..একটা কথা মনে রাখ সুশান্ত আমাদের মনের মধ্যে বেঁচে থাকবে,আজীবন থাকবে..তোমরা এমন কিছু করো না যা ওঁর আত্মাকে কষ্ট দেবে..মন শক্ত কর!'
সুশান্তের মৃত্যুর খবর পাওয়ামাত্রই দেশে ফেরবার জন্য ছটপট করছেন শ্বেতা। করোনা সংকটে বিমান পরিষেবা ব্যাহত তাই শেষবারের মতো ভাইকে দেখতে পাননি শ্বেতা। অনেক চেষ্টার পর মঙ্গলবারের বিমানে দিল্লি ফিরছেন তিনি,সেখান থেকে সোজা যাবেন সুশান্তের মুম্বইয়ের অ্যাপার্টমেন্টে। এই মুহূর্তে সেইখানেই রয়েছেন প্রয়াত অভিনেতার পরিবারের অনান্য সদস্যরা। নিজের দেশে ফেরবার খবরও ফেসবুকে দেন শ্বেতা।
সোমবার মুম্বইয়ের ভিলে পার্লে শ্মশানে সুশান্তের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। হাজির ছিলেন সুশান্তের পরিবারের লোকজন ছাড়াও হাতে গোনা কয়েকজন বলি তারকা। মাত্র ২০ জনই করোনা সংকটের কারণে সুশান্তের শেষযাত্রায় শামিল হতে পারেন। বলিউডের তরফে সুশান্তকে শেষ শ্রদ্ধার্ঘ জানালেন শ্রদ্ধা কাপুর,কৃতী শ্যানন, রাজকুমার রাও,বিবেক ওয়েরয়,রণবীর শোরে,বরুণ শর্মার মতো অভিনেতারা।