সাত সমুদ্র পারে থাকবার জেরে ভাইয়ের অন্তিম দর্শনটুকু করতে পারেননি সুশান্ত সিং রাজপুতের দিদি শ্বেতা সিং কৃতী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন শ্বেতা,করোনা সংকটের মাঝে বন্ধ আন্তর্জাতিক বিমান,অনেক চেষ্টার পর বিশেষ বিমানে বুধবার রাতে পাটনা পৌঁছান তিনি। ভাইয়ের মৃত্যুর খবর সামনে আসবার পর শ্বেতাই পরিবারের একমাত্র সদস্য ছিলেন যিনি পর পর বেশ কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করেছিলেন। সুশান্তের কাছে ক্ষমা চেয়ে একটা মর্মস্পর্শী খোলা চিঠিও লিখেছিলেন শ্বেতা। কিন্তু শুক্রবার আচমকাই নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল ডিলিট করে দিয়েছেন শ্বেতা।
বুধবার রাতে শ্বেতা সুশান্তের উদ্দেশে লেখেন, 'আমার সোনা,আমার বাবু, আমার বাচ্চা..হয়ত শারীরিকভাবে আমাদের সঙ্গে নেই এটা ঠিক এবং হ্যাঁ সেটা ঠিক আছে...আমি জানি তুই অনেক কষ্টের মধ্যে ছিলিস,এবং তুই লড়াই করছিলিস,কারণ তুই একজান যোদ্ধা। ক্ষমা করে দে সোনা...ক্ষমা করে দে যে তোকে ওতো কিছুর মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে..যদি তোর থেকে আমি সব যন্ত্রণাগুলো নিয়ে নিতে পারতাম এবং আমার আনন্দগুলো তোকে দিতে পারতাম...।
কিন্তু শুধু পোস্ট ডিলিট করাই নয়, প্রোফাইলটাই লক করে দিয়েছেন তিনি। শুধু ফেসবুক নয়, ইনস্টাগ্রাম থেকেও গায়েব শ্বেতা। যদিও কী কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শ্বেতা তা জানা যায়নি। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সূত্রে খবর,সুশান্তের বাবা মুম্বই পুলিশকে দেওয়া বয়ানে জানিয়েছেন তাঁর ছেলে অবসাদগ্রস্ত ছিল না জানতেন না তিনি। হ্যাঁ,মাঝেসাঝে মন খারাপের কথা বলত,ব্যাস ওইটুকুই। কিন্তু তাঁর দিদির এই চিঠিতে পরিষ্কার সবকিছু ঠিক ছিল না সুশান্তের জীবনে এবং সুশান্তের সেই যন্ত্রণা গুলো অজানা ছিল না তাঁর। তবে কী সেই কারণেই প্রোফাইল ডিলিট করলেন শ্বেতা?
পরিবারের সবচেয়ে ছোট ছেলে সুশান্ত। তাঁর চার দিদি রয়েছে।
এর আগেও নিজের ফেসবুক পোস্টে শ্বেতা জানিয়েছিলেন সুশান্তের মৃত্যুর খবর জানবার পর কীভাবে তাঁর পাঁচ বছরের ছেলে সান্ত্বনা দিয়েছে তাঁকে। তিনি লেখেন, যখন আমি নির্বাণকে বললাম মামু আর নেই,ও জবাব দিল কিন্তু তোমার মধ্যেই তো মামা বেঁচে রয়েছে..পরপর তিনবার একই কথা আওরে গেল। যখন একটা পাঁচ বছরের বাচ্চা এইরকম কিছু একটা বলে তখন মনে হয় আমাদের সবাইকে মন শক্ত করতে হবে..সবাই নিজেদের শক্ত কর..বিশেষত সুশান্তের অনুরাগীদের বলছি..একটা কথা মনে রাখ সুশান্ত আমাদের মনের মধ্যে বেঁচে থাকবে,আজীবন থাকবে..তোমরা এমন কিছু করো না যা ওঁর আত্মাকে কষ্ট দেবে..মন শক্ত কর!'