মাদক চক্রের সঙ্গে রিয়া চক্রবর্তীর যোগসূত্রের হদিশ পাওয়ার খবর সামনে আসবার পর বুধবারই রিয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। সুশান্তের মৃত্যু মামলায় তৃতীয় কেন্দ্রীয় সংস্থার যোগদানের কয়েকঘন্টার মধ্যেই সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হলেন রিয়া চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার বেশ কিছু নির্বাচিত সংবাদ মাধ্যমে মুখ খোলেন রিয়া।
শুধু ড্রাগ সেবন বা সুশান্তকে নিষিদ্ধ ড্রাগের ওভারডোজ দেওয়া নয়, ড্রাগ ব্যবসার সঙ্গে রিয়ার যুক্ত হওয়ার খবরও সামনে এসেছে। এদিন নিজের আইনজীবীর সুরে সুর মিলিয়ে রিয়া বলেন, তিনি কোনওদিনই ড্রাগ নেননি এবং রক্ত পরীক্ষার জন্য তৈরি রয়েছেন।
এদিন ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে রিয়া বলেন, সুশান্ত মারিজুয়ানা (গাঁজা) খেত,সুশান্ত এটা সেবন করত আমদের দেখা হওয়ার আগে থেকেই। এইসব কিছুর শুরু হয় কেদারনাথের সময় থেকে। আমি চেষ্টা করেছিলাম ওকে কন্ট্রোল করবার শুধুমাত্র এই বিষয়টাতেই। কিন্তু ও নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিত এবং ওকে কেউ থামাতে পারত না'।
রিয়াকে প্রশ্ন করা হয়, তুমি কি ড্রাগের নেশা কর ? রিয়া পরিষ্কার জানান, 'আমি সব অভিযোগ অস্বীকার করছি। আমি চাই না তদন্তে কোনওরকম ক্ষতি করতে।হ্যাঁ, আমি গৌরব আর্যকে চিনি। আমি কোনওদিনই এমডিএমএ নিইনি।
উল্লেখ্য, রিয়ার ফাঁস হওয়া ডিলিট হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে উঠে এসেছে গৌরব আর্যর নাম। রিয়া নিজে তাঁকে বলেছেন 'আমি একবারই এমডিএমএ (MDMA) সেবন করেছি'।
এরপর সুশান্তের চা বা কফিতে CBD ( এক ধরণের নিষিদ্ধ ড্রাগ) মেশানোর ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে (যেমনটা ফাঁস হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে উঠে এসে) রিয়া বলেন, ‘জয়াকে ও (সুশান্ত) কিছু বিকল্প থেরাপির কথা জিজ্ঞাসা করেছি, ওই নিশ্চয় কিছু করেছিল’।
বৃহস্পতিবার নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর তরফে নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্স আইন, (Narcotic Drugs and Psychotropic Substances Act) ১৯৮৫-র আওতায় ২০,২২,২৭,২৯-এর মতো ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। অর্থাত্ শুধু ড্রাগ সেবন বা ড্রাগ পাচার নয়, ব্যবসায়িক স্বার্থে ড্রাগের আদান-প্রদানের অভিযোগও আনা হচ্ছে রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। রয়েছে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের ধারাও।
এর আগে টাইমস নাওয়ের তরফে রিয়ার বেশ কিছু ডিলিট করা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ফাঁস করা হয়, যেখানে সুশান্তের হাউজ ম্যানেজার রিয়াকে মেসেজ করেন। সেখানে স্যামুয়েল লেখেন, ‘হাই, তুমি কী দীপেশকে ১৭,০০০ টাকা দিতে পারবে দু ব্যাগ উইড (গাঁজা)-এর জন্য। একটা আমাদের জন্য,অন্যটা তাঁর জন্য এবং ও সেগুলো ট্রান্সফার করে দেবে’। জবাবে রিয়া বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি পারব’।