বলিউড বাদশার ‘জবরা ফ্যান’ ছিলেন প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত। নিজের মুখে বহুবার সেকথা বলেছেন সুশান্ত। দিলওয়ালে দুলহানিয়া লেযায়েঙ্গে দেখে রাজকেই নিজের অনুপ্রেরণা হিসাবে মনের মণিকোঠায় স্থান দিয়েছিল ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র সুশান্ত। তারপর থেকে বহু পথ পেরিয়ে পাটনা থেকে দিল্লি ঘুরে মুম্বই পৌঁছেছিলেন। টেলিভিশন থেকে শুরু করে নিজের প্রচেষ্টায় হয়ে উঠেছিল বলিউডের উজ্জ্বল তারকা।
সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকেই 'বলিউডের প্রিভিলেজ ক্লাব'কে নিশানায় নিয়েছেন নেট নাগরিকরা। টুইটারে খানেদের বয়কট করবারও ডাক উঠেছে। #BoycotttheKhans।
সলমনের বিরুদ্ধে ব্যাপক হারে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন নেটিজেনরা,আইফার পুরস্কারের মঞ্চেও শাহরুখ-শাহিদের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে যেখানে সুশান্তের সঙ্গে রসিকতা করতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। সুশান্তের মৃত্যুর পর এই ভিডিয়ো ক্লিপ টুইটারে পোস্ট করে অনেকেই জানিয়েছেন এখানে তাচ্ছিল্য করা হয়েছে সুশান্তকে।
তবে এই ভিডিয়োর পাল্টা ভিডিয়োয় শেয়ার করছেন শাহরুখ ভক্তরা। যেখানে দেখা যাচ্ছে সুশান্তের জীবনে শাহরুখের গুরুত্ব কতখানি। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সুশান্তের এক পুরোনো ভিডিয়ো যেখানে শাহরুখ খানের সামনেই বাদশাকে নকল করতে দেখা গেছে প্রয়াত অভিনেতাকে। এই ভিডিয়োটি সুশান্তের ব্যোমকেশ বক্সীর প্রমোশন চলাকালীন।
২০১৭ সালে হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে সুশান্ত বলেছিলেন, আমিও শাহরুখ খানের চরম ভক্ত। আমার মনে আছে দিলওয়ালে দুলহানিয়া লেযায়েঙ্গে দেখেই আমি এসআরকের ফ্যান হয়ে গিয়েছিলাম। তবে শুধু এই কারণেই উনি আমার রোল মডেল নন,আমি কী হতে চাই সেটা বেছে নিতে আমাকে সাহায্য করেছেন শাহরুখ। নব্বইয়ের দশকে বেড়ে উঠা মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে আমি..তখন আমি ক্লাস সিক্সে পড়ি যখন ডিডিএলজে রিলিজ করেছিল। রাজ শিখিয়েছিল বিয়ার খাওয়াটা কুল কিন্তু সিমরণকে বিয়ে করতে গেলে ওঁর বাবার অনুমতিটাও ততটাই জরুরি। মানে কুল হতে গেলে নিজের সংস্কৃতিকে ভোলা যাবে না'।
শুধু শাহরুখের সামনে নয়, অনেক বার সাক্ষাত্কারের মাঝে নিজের ইচ্ছাতে বা কারুর অনুরোধে খুশি খুশি শাহরুখকে নকল করেছেন সুশান্ত। কুছ কুছ হোতা হ্যায় ছবির গানে সুশান্তের এই পাগলামি এখনও ভুলতে পারছে না ফ্যানেরা। তাঁদের কথায়,'এইভাবেই মনে রাখতে চাই তোমার হাসি মুখটা'।
সুশান্তের মৃত্যুর খবর জেনে টুইট বার্তায় শাহরুখ লেখেন,'ও আমাকে খুব ভালোবাসত…আমি ওকে খুব বেশি মিস করব। ওর এনার্জি, ওর প্রাণোচ্ছ্বলতা এবং ওঁর ওই হাসি ভরা মুখটা। আল্লাহ ওঁর আত্মার শান্তি দিক, ওর পরিবার ও প্রিয়জনদের প্রতি রইল গভীর সমবেদনা। প্রচন্ড খারাপ একটা খবর.. আমি সত্যি হতবাক'।