এইমসের রিপোর্ট আসার পর মেরেকেটে ৪৮ ঘণ্টা কেটেছে। তারইমধ্যে সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু মামলায় নয়া রহস্য তৈরি হল। টাইমস নাওয়ের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হল, তাদের কাছে একটি অডিয়ো টেপ আছে। যেখানে এইমসের বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান সুধীর গুপ্ত দাবি করেছেন, সুশান্তকে ‘খুন করা হয়েছে’।
ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে মৃতদেহের ছবি দেখে বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান নাকি দাবি করেছিলেন, তিনি ‘২০০ শতাংশ নিশ্চিত' যে সুশান্তকে খুন করা হয়েছে। সেই অডিয়ো টেপ অবশ্য ‘হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা’-র কাছে নেই।
পরে ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্টে সুশান্তকে খুনের তত্ত্ব উড়িয়ে দেওয়া হয়। সুশান্ত আত্মহত্যা করেছেন বলেই জানানো হয়। সংবাদসংস্থা এএনআইকে বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান বলেন, 'আমাদের চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছি। এটা ফাঁস দেওয়ার ঘটনা এবং আত্মহত্যার জেরে মৃত্যু হয়েছে।' তিনি আরও বলেন, 'ফাঁস ছাড়া সুশান্তের দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। মৃতের শরীর এবং পোশাকে লড়াই বা ধস্তাধস্তির কোনও নির্দশন নেই।'
সেই অডিয়ো টেপের বিষয়টি সামনে আসার পর সুশান্ত পরিবারের তরফে জানানো হয়, নয়া ফরেন্সিক দল গঠনের আর্জি জানানো হবে। সুশান্তের পরিবারের আইনজীবী বিকাশ সিং বলেন, ‘এইমসের রিপোর্ট নিয়ে অত্যন্ত বিচলিত। সিবিআইয়ের অধিকর্তাকে নয়া ফরেন্সিক দল গঠনের আর্জি জানাব। দেহ ছাড়াই কীভাবে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিতে পারে এইমসের দল। তাও কিনা কুপার হাসপাতালের এরকম নিম্ন পর্যায়ের ময়নাতদন্তের ভিত্তি করে (রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে)। যেখানে মৃত্যুর সময়ের পর্যন্ত উল্লেখ নেই।’