যখন তিনি মার্জার সরণী দিয়ে হাঁটেন তখন তিনিই শ্রেষ্ঠ। ফের একবার এলেন, হাঁটলেন আর সবার মন জিতলেন সুস্মিতা সেন। প্রাক্তন ব্রহ্মাণ্ড সুন্দরী রবিবার সন্ধ্যায় বম্বে টাইমস ফ্যাশন উইকে শোস্টপার ছিলেন। কালো পোশাকে চমকে দিলেন অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন। নায়িকার ব়্যাম্পে হাঁটার বেশ কয়েকটি ভিডিও এবং ছবি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল হয়েছে।
বম্বে টাইমস ফ্যাশন উইকে কালো পোশাকে চমকে দিলেন সুস্মিতা সেন এই অনুষ্ঠানের জন্য, সুস্মিতা একটি কালো- সোনালি লেহেঙ্গা চোলিতে ঝলমল করলেন। সঙ্গে মানানসই মেকআপ। তিনি একটি নেকলেস পরেছিলেন কিন্তু কানের দুল ছিল না। ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা সুস্মিতার একটি ভিডিওতে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এক ভক্ত জানিয়েছেন, ‘সুস্মিতা সত্যিই ডিভা, কোনও তুলনা নেই’। আরেকজন লেখেন, ‘ঐশ্বর্যর চেয়েও অনেক সুন্দর সুস্মিতার ব়্যাম্প ওয়াক। বিচারকরা তিন দশক আগে ভুল সিদ্ধান্ত নেননি’। কয়েকজন জানিয়েছেন যে অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত ব়্যাম্প ওয়াকের ক্ষেত্রে সুস্মিতাকে অনুসরণ করেন।
সুস্মিতা ও ঐশ্বরিয়া দুজনেই ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। সুস্মিতা নিজের মুখে জানিয়েছেন, প্রতিযোগিতায় ঐশ্বর্য অংশগ্রহণ করছেন শুনে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিতে চেয়েছিলেন তিনি। সেইসময় ঐশ্বর্যর সৌন্দর্যের চর্চা ছিল সর্বজন বিদিত। মায়ের কথায় মত বদল করে অংশ নেন সুস্মিতা। এবং ভাগ্যের পরিহাস এমন যে ঐশ্বর্যকে হারিয়ে মিস ইন্ডিয়ার খেতাব জিতেছিলেন এই বঙ্গসুন্দরী।
সুস্মিতা প্রথম ভারতীয় যিনি ১৯৯৪ সালে মিস ইউনিভার্সের মুকুট জিতেছিলেন। একই বছরই মিস ওয়ার্ল্ড খেতাব জিতেছিলেন অ্যাশ। জানা যায়, ঐশ্বর্যর চেয়ে ইংরাজি বলার দক্ষতায় এগিয়ে থাকাতেই নাকি শিকে ছিঁড়েছিল সুস্মিতার। তবে রূপে-গুণে-বুদ্ধিমত্তায় বরাবরই নজর কেড়েছেন দুই সুন্দরী।
সুস্মিতাকে শেষবার দেখা গিয়েছিল থ্রিলার ড্রামা আরিয়া সিজন ৩-তে। ঐশ্বরিয়ার শেষ ছবি ছিল মণিরত্নমের পোন্নিয়িন সেলভান: ২। তিনি এখনও তার পরবর্তী প্রকল্প ঘোষণা করেননি।