২১ বছর বয়সে প্রথম কন্যা সন্তানকে দত্তক নিয়ে সুস্মিতা সেন সকলকে অবাক করে দিয়েছিলেন। অবিবাহিত সুস্মিতা সেনের এই সিদ্ধান্ত ব্যাপক ভাবে সমালোচনার মুখে পড়েছিল। তবে পরে তিনি দ্বিতীয় কন্যাকে সন্তান দত্তক নেন। বর্তমানে দুই মেয়েকে নিয়েই সুখে জীবনযাপন করছেন তিনি। বহু বছর পর, সুস্মিতা জানান যে, তিনি একসময় তার বড় মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার কথা ভেবেছিলেন।
ডাঃ শীন গুরিবের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সুস্মিতা বলেন, 'যখন আমার বয়স ২১ বছর, আমি জানতাম আমি কী চাই। ২১ থেকে ২৪ বছর বয়স পর্যন্ত আইনি লড়াই চলতে থাকে। একবার এটা শুরু হয়ে গেলেও আমার মেয়ে আমার সঙ্গে বড় হয়েছে। কিন্তু তখন আমার প্রতিটা দিন ভয়ে কাটত। আদালত যদি আমার পক্ষে রায় না দেয় তখন কী হবে? এই ট্রমা নিয়ে তখন বাঁচতাম। ভাবতাম ওঁরা মেয়েটাকে আমার থেকে নিয়ে চলে যাবে। সেই সময় ও আমাকে 'মা' বলে ডাকতেও শুরু করে দিয়েছিল। তখন আমি একবার ভেবেছিলাম ওকে নিয়ে পালিয়ে যাব।'
সুস্মিতা বলেন, ‘শুনানির পর আমি আমার বাবাকে গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যেতে বলতাম। আমরা ওকে নিয়ে যাব। আমার বাবা বলেছিলেন যে এরকম কিছুই হবে না। কিন্তু আমি দৃঢ় ছিলাম যে ওঁরা আমার সন্তানকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: ‘পয়জন বেবি’তে ৫২-র মালাইকার শরীরী হিল্লোলের সামনে ফিকে রশ্মিকা!
তাঁর বাবার ব্যাপারে সুস্মিতা বলেন, ‘আমি আমার বাবার জন্য গর্বিত। আজ আমার সন্তানরা আমার সঙ্গে আছে, বিশেষ করে এমন একটা দেশে যেখানে একজন বাবা বা পিতার সমতুল্য ব্যক্তিত্বকে সন্তান দত্তক নিতে হয়। আদালত ওঁকে বলেছে যে আমার সন্তানকে লালন-পালন করার জন্য ওঁর আর্থিক অবস্থা জানাতে হবে। ওঁকে ওঁর অর্ধেকেরও বেশি সম্পত্তিতে সই করতে হবে। কিন্তু আমার বাবা আদালতকে বলেছিলেন যে তিনি ধনী নন এবং যদি আপনি অর্ধেক নেন, তাহলে আমার কিছুই থাকবে না। আমি এখানে আমার মালিকানাধীন সব কিছু ওঁকে নিঃশর্তভাবে স্বাক্ষর করতে এসেছি।’
সুস্মিতা জানিয়েছেন যে, কীভাবে তাঁর বাবাকে সতর্ক করা হয়েছিল যে তিনি একা মা হওয়ার কারণে কেউ তাকে বিয়ে করবে না। তার বাবা উত্তর দিয়েছিলেন যে, তিনি তাকে কারও স্ত্রী হওয়ার জন্য বড় করেননি। এর পরে, যখন সুস্মিতা দ্বিতীয়বার দ্বিতীয় মেয়েকে দত্তক নেওয়ার জন্য আদালতে যান, তখনও কিন্তু সেটা সহজ ছিল না।