প্রতি বছর ৮ মার্চ দিনটি আন্তর্জাতিক নারী দিবস বা International Women's Day হিসেবে উদযাপন করা হয়। সমাজের বিভিন্ন স্তরে নারীর অবদান, তাদের ভূমিকার প্রতি সম্মান জানাতেই এই দিনটি উদযাপন করা হয়। সারা বছরই মেয়েদের ক্ষমতায়নের নানা বিষয়ের ওপর পালন করা হয় বিশেষ কর্মসূচি। মঙ্গলবার নেটমাধ্যমে একটি পোস্টে যেসব মহিলারা সাত পাকে বাঁধা পড়া ছাড়াই সন্তান দত্তক নিয়েছেন, তাঁদের নিয়ে মুখ খুলছেন সুস্মিতা সেন।
ইনস্টাগ্রামে একটি হোর্ডিংয়ের ছবি পোস্ট করেছেন সুস্মিতা, যেখানে গোটা জায়গাটি জুড়ে রয়েছে তাঁর মুখের ছবি। সঙ্গে সন্তান দত্তক নেওয়া নিয়েও ওই হোর্ডিংয়ে তোলা হয়েছে প্রশ্ন। দত্তক নেওয়া নিজের দুই সন্তান রেনে এবং আলিশাকে নিয়ে মুখ খুললেন এই বলি-সুন্দরী। তাঁর কথাতেই জানা গেল, দু'বারই সন্তান দত্তক নেওয়ার আগে তাঁর সিদ্ধান্তে বহু মানুষ প্রশ্ন তুলেছিলেন। যদিও বলি-অভিনেত্রীর কথায় এটি তাঁর জীবনের সেরা সিদ্ধান্ত। পোস্টের ক্যাপশনে সুস্মিতা লিখেছেন, ' তখন আমার মাত্র ২৪ বছর বয়স যখন রেনে আমার হৃদয় থেকে জন্ম নিয়েছিল। রেনের জন্মগ্রহণের অন্তঃস্থল ছিল আমার হৃদয়। এবং তা আমার জীবনের বিরাট সিদ্ধান্ত ছিল। যদিও বহু মানুষ তাতে প্রশ্ন তুলেছিলেন। কেন সন্তান দত্তক নিচ্ছি? বিয়ে করা ছাড়া কীভাবে সন্তান প্রতিপালন করব? এই সিদ্ধান্তের সুবাদে আমার পেশাগত এবং ব্যক্তিগত জীবনে যে বিরাট প্রভাব পড়বে তা কি আমি বুঝতে পারছি না? ইত্যাদি ইত্যাদি। এরকম নানা প্রশ্ন এবং মতামত ভেসে এসেছিল আমার উদ্দেশে।'
সুস্মিতার সংযোজন, 'তবে জানতাম মা হওয়ার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত আমি। আর এই সিদ্ধান্তটি নিয়ে এতটাই খুশি হয়েছিলাম যে তা দু'দুবার নিয়ে ফেলেছিলাম। এখন আমি রেনে ও আলিশা-দুই মেয়ের মা। আজ আমি যতটুকু তার অন্যতম কারণ বরাবর হৃদয়ের কথা শুনে চলার সাহস দেখিয়েছি। আমি জানি অনেকে নানারকম কথা বলবেন, কিন্তু সেসব যেন আপনার চলার পথে বাধা সৃষ্টি করতে না পারে।'
এই প্রসঙ্গে 'ফেমিনা'-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দত্তক নেওয়া বড় মেয়ে রেনে-র বিষয়ে তিনি বলেছিলেন, 'রেনেকে বাড়ি আনার আগের রাতের গোটাটাই না ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিয়েছিলাম। বিয়ের কনের মতো টেনশনে ভুগছিলাম। সেই রাতে মনে হয়েছিল, মা তো হতে চলেছি কিন্তু জানি না পুরো ব্যাপারটি কীভাবে সামলাবো। সেদিন নিজেকেই ক্রমাগত এই প্রশ্ন করে চলেছিলাম ,যদিও জবাবটা আজ আমার কাছে পরিষ্কার। কাল হোক কিংবা যেদিনই আমি বিয়ে করব, রেনেই থাকবে আমার প্রথম সন্তান। আমার সন্তানদের মধ্যে জ্যেষ্ঠা হিসেবে বরাবরই ওঁর পরিচয় থাকবে। আর ওর জন্মগ্রহণের অন্তঃস্থল যে আমার হৃদয়, সেকথা রেনেকে বলতেও কোনওদিন পিছপা হইনি।'