জীবনের পথে বরাবরই নিজের শর্তেই বেঁচেছেন। নিজের মতো করেই পথ হেঁটেছেন। এভাবে চলতে গিয়ে যেমন সাফল্য এসেছে, তেমনই তাঁকে নিয়ে লোকজন নানান আলোচনা করতেও ছাড়েননি। আর ইনি আর কেউ নন ১৯৯৪ সালে মিস ইউনিভার্সের খেতাব জয়ী সুস্মিতা সেন। এই সুস্মিতাই আবার ২০০০ সালে মাত্র ২৪ বছর বয়সে মেয়ে রেনে-কে দত্তক নেন। সুস্মিতার এই মাতৃত্ব নিয়ে একসময় দেশজুড়ে চর্চা হয়েছে, তবু ২০১০ সালে দ্বিতীয়বার কন্যা সন্তান দত্তক নেন অভিনেত্রী, নাম রাখেন আলিশা।
তবে এই সুস্মিতাই আবার জড়িয়েছেন একাধির প্রেমের সম্পর্কে। তবে কোনও সম্পর্কেই শেষপর্যন্ত থিতু হতে পারেননি। যদিও সুস্মিতা সেনই এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি বিয়ে করুন, সেটা নাকি চায় না তাঁর দুই মেয়ে। তবে বর্তমানে সুস্মিতার দুই মেয়ে এখন অনেকটা বড় হয়ে গিয়েছেন। বড় মেয়ে রেনেও মায়ের মতোই অভিনেত্রী হতে চান, তিনিও বিনোদন জগতে পা দিয়েছেন। আর ছোট মেয়ে আলিশা পড়াশোনা করতে আপাতত বিদেশে রয়েছেন। তবে মেয়েরা তো বড় হয়ে যাচ্ছেন, মা সুস্মিতা কি কখনও দুই মেয়ে রেনে ও আলিশাকে যৌনশিক্ষার পাঠ দিয়েছেন?
সম্প্রতি রিয়া চক্রবর্তীর পডকাস্টে সুস্মিতাকে এবিষয়েই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। এবিষয়ে ঠিক কী উত্তর দিয়েছেন সুস্মিতা? ‘আমাকে আমার মেয়েদের যৌন শিক্ষা দিতে হয় না। ওরা ইতিমধ্যেই এটাতে PhD করে ফেলেছে। আমার ছোটমেয়ের আবার শরীরবিদ্যায় ভীষণ আগ্রহ। ও সবকিছুতেই ভীষণ শর্তে, যুক্তিতে চলে। তাই আমি ছোটকে বলি, ওকে এই আলোচনাটা কি আমি ভীষণ সাধারণস্তরে রাখতে পারি? এত টেকনিক্যাল বিষয়ে কথা বলার প্রয়োজন নেই।’
সুস্মিতা বলেন, ‘এক্ষেত্রে আমার মায়ের সঙ্গে আমার যেভাবে আলোচনা হত, কথা হত, তার থেকে এখন আমার সঙ্গে আমার মেয়েদের কথাবার্তার ধরন সম্পূর্ণ আলাদা।’
সুস্মিতর কথায়, ‘আমি শুধু মেয়েদের বলেছি, যদি কেউ তোমাদের বলে, এটা ঠিক নয়, ওটা ঠিক নয়। তাহলে তাঁকে সাফ জানিয়ে দিও আমি আপনার সঙ্গে এটা নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী নই। এটা শুধু তোমার আর তোমার বন্ধুর মধ্যে থাকা একটা বিষয়। এক্ষেত্রে কোনওকিছুতে প্রভাবিত হয়ে, কারোর কথায় প্রভাবিত হয়ে জীবনে কিছু কোরো না। তাহলেই ভুল হবে। নিজের যেটা মন থেকে ইচ্ছে হয়, সেটাই কোরো। নিজের জীবনের মতোই যৌনতাকেও সম্মান করো। তবে কখনও অপরাধবোধে ভুগো না, নিজের খারাপ লাগে এমন কিছু কোরো না। চাপে পড়ে কিছু কোরো না। আর সবশেষে বলেছি, যাই কোরো না কেন, আমার কাছে কখনও কিছু লুকিয়ে রেখো না।’