গত বছরই পথ আলাদা হয়েছিল সুস্মিতা সেন আর রোমন শলের। তবে বিচ্ছেদের পরেও টান কমেনি। প্রায়ই একসঙ্গে দেখা মেলে তাঁদের। তাই তো নতুন প্রেমে জড়িয়ে পড়ার পরেও পুরনো প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করলেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী। সঙ্গে বড় মেয়ে রেনে।
মুম্বইয়ের ইতিউঁতি প্রায়ই দেখা মেলে তাঁদের। রবিবারের ছুটির দিনটা সুস্মিতা কাটালেন রোমন আর রেনের সঙ্গে। পাপারাৎজিদের ক্যামেরায় ধরাও পড়লেন তিনজন। একসঙ্গে গেলেন একটি হোম ডেকর বুটিকে। তবে মিডিয়া দেখে মোটেও মুখ লোকাননি সুস্মিতা। বরং, ক্যামেরার দিতে তাকিয়ে বেশ হাত নাড়েন। সঙ্গে ছোট মেয়ে আলিশার জন্মদিন নিয়েও কথা বলেন। তবে এই ভিডিয়োতে নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন নেট-নাগরিকরা। একজন লিখেছেন, ‘ললিত ভাইয়ের কী হবে?’ আরেকজন লিখলেন, ‘এদের দেখলে সব গুলিয়ে যায়’।
বেগুনি রঙের একটি কো-অর্ড ড্রেস পরেছিলেন সুস্মিতা। রেনে পরেছিলেন ডেনিম প্যান্ট আর পিঙ্ক টপ। রোমনের পরনে ছিল গ্রে রঙের জিন্স আর গোলাপি টপ। আরও পড়ুুন: ‘কিছু যায় আসে না’, সলমনের ভাই সোহেলকে ডিভোর্স নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন সীমা
২০২১ সালের ডিসেম্বরেই বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেছিলেন সুস্মিতা সেন এবং রোমান শল। ২০১৮ সালের জুলাই মাস থেকে শুরু হয়েছিল এই সম্পর্ক। বিচ্ছেদের খবর জানাতে নিজেদের একটা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে প্রাক্তন মিস ইউনিভার্স লিখেছিলেন, ‘আমরা বন্ধু হিসেবে শুরু করেছিলাম। এখনও বন্ধুই আছি। সম্পর্ক অনেকদিন চলল… ভালোবাসা এখনও আছে।’ মোদীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর পরও রোমানের সঙ্গে বন্ধুত্ব অটুট রয়েছে নায়িকার। আরও পড়ুন: মিস ডিভা ইউনিভার্স হলেন কর্ণাটকের দিভিতা রাই, উত্তরসুরীকে মুকুট পরালেন হারনাজ
এদিকে জুলাই মাসেই ‘পলাতক’ এবং ‘আর্থিক দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত’ ললিত মোদী ইনস্টাগ্রামে সুস্মিতা সেনের সঙ্গে একাধিক ছবি শেয়ার করেন। আর তাতে ভালোবাসা ও সম্পর্ক জাহির করে নেন নেট-নাগরিকদের সঙ্গে। যা বিস্ফোরক আকার ধারণ করে, কেননা সুস্মিতা আর ললিতের সম্পর্ক মেনে নেওয়াই মুশকিল হয়ে পড়েছিল। তবে সম্পর্ক নিয়ে ভাসা ভাসা জবাব এসেছিল সুস্মিতার থেকে। তিনি সোশ্যালে লিখেছিলেন, ‘আমি খুব আনন্দের জায়গায় আছি!!! বিয়ে হয়নি, আংটিও পরিনি। নিঃশর্ত ভালোবাসায় ঘিরে আছি। যথেষ্ট স্পষ্ট করে বলে দিয়েছি। এবার নিজের জীবনে আর কাজে ফিরি।’
তবে এরপর সুস্মিতার নামের সঙ্গে জুড়ে দাওয়া হয় ‘গোল্ড ডিগার’ তকমা। নেটপাড়ায় চর্চা চলতে থাকে ললিতের টাকার জন্য এই সম্পর্ক। সেই ট্রোলাররা বোঝা যাচ্ছে এখনও মুখ বন্ধ করেননি।