একটা সময় তাঁরা ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন, সংসারও করেছেন একটানা ১৪ বছর। তবে আচমকাই ফাটল ধরে হৃতিক-সুজানের সুখী গৃহকোণে। ২০১৪ সালে বিচ্ছেদ হয় দুজনের। তবে দাম্পত্য সঙ্গী না থাকলেও পরস্পরের বন্ধু তাঁরা। ডিভোর্সের পর দীর্ঘসময় একাই ছিলেন দুজনে, তবে গত বছর থেকে সুজান খানের সঙ্গে আরসালান গোনির সম্পর্কের কথা কানে আসতে থাকে। আর মাস কয়েকের মধ্যেই হৃতিকও খুঁজে নেন তাঁর নতুন সঙ্গী।
অঘোষিত হলেও হৃতিকের সঙ্গে সাবা আজাদের সম্পর্কের কথা এখন আর অজানা নয়। মঙ্গলবার ফের একবার এয়ারপোর্টে প্রেমিকার হাতে শক্ত করে ধরে হাঁটতে দেখা যায় হৃতিককে। আর সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার কয়েকঘন্টার মধ্যেই এয়ারপোর্টে প্রেমিকের হাত ধরে হাঁটেন হৃতিকের প্রাক্তন স্ত্রী সুজান খান। কোনও লুকোছাপা নয়, বরং পাপারাতজিদের ক্যামেরার দিকে হাসি মুখে তাকান দুজনে। যেন চোখে চোখে বলছেন, ‘বেশ করেছি প্রেম করেছি’।
সুজানকে দেখা গেল কালো টি-শার্ট আর ম্যাচিং শর্টস, গলায় জড়ানো একটি স্টোল। পায়ে স্নিকার, হাতে মানানসই ডিজাইনার ব্যাগ। সুজানের প্রেমিক আরসালানের দেখা মিলল হলুদ টি-শার্ট আর ব্লু ডেনিমে। এই ভিডিয়ো দেখে অনেকেরই প্রশ্ন, তবে কি প্রাক্তন জুটি কোনও প্রতিযোগিতায় নেমেছেন? ডিভোর্সের পর নতুন প্রেমের উদযাপনের ছবি ফলাও করে তুলে ধরতেই যেন এভাবে হেঁটে যাওয়া!
আসলে সোমবার রাতে গোয়ায় এক ছাদের নীচেই হাজির ছিলেন হৃতিক-সাবা এবং সুজান-আরসালান! হ্যাঁ, গল্প নয় একদম সত্যি। পূজা বেদীর নতুন রেস্তোঁরার ওপেনিং-এ হাজির ছিলেন এই দুই প্রেমিক যুগল। পূজার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে রয়েছে প্রমাণও। হাসিমুখে হোস্ট পূজার সঙ্গে ছবি তুলেছেন সাবা ও হৃতিক। আবার সুজান-আরসালানের সঙ্গেও ফটো তুলেছেন পূজা বেদী।
ডিভোর্সের পরও এক ছাদের তলায় প্রয়োজনে থাকতে কুন্ঠাবোধ করেন না হৃতিক-সুজান। কারণ দুই সন্তান (রেহান ও রিদান)-এর দায়িত্বশীল বাবা-মা তাঁরা। ছেলেদের নিয়ে প্রায়শয়ই একসঙ্গে সময় কাটাতে দেখা যায় তাঁদের। এই দুই প্রাক্তনের বন্ডিং এতটাই মজবুত যে হৃতিকের পরিবারের সব পার্টিতে হাজির হন সুজান। একই কথা প্রযোজ্য হৃতিকের ক্ষেত্রেও। তাই তো অনেকেই চাপা গলায় প্রশ্ন করছেন, তবে কি পরস্পরের বিয়েতেও হাজির থাকবেন দুজনে?