পেশায় তিনি ইন্টিরিয়ার ডিজাইনার, অন্যের ঘর মনের মতো করে সাজিয়ে দেন সুজান খান। তবে নিজের ভালোবাসার নীড়টাও সবসময় সুন্দর করে সাজিয়ে তোলেন তিনি। বৃহস্পতিবার ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেন সুজান, যা দেখে অবাক সকলে। ক্রিসমাস ট্রি, আলোর রোশনাই,মিশেলটো, মোমবাতিতে ভরে উঠেছে সুজানের ঘরের অন্দর, সঙ্গে বাজছে জমকালো মিউজিক- বছর শেষের আগে এ এক মায়াবী পরিবেশ। নতুন বছরকে দু-হাত খুলে স্বাগত জানাতে তৈরি সুজান, তা ভালোভাবেই বোঝা গেল।
সেই ভিডিয়োর ক্যাপশনে হৃতিকে প্রাক্তন স্ত্রী লেখেন, ‘ডিসেম্বরের চেয়ে বেশি সুন্দর সময় আর কিছু হতেই পারে না!’ সঙ্গে ক্যাপশনে বুঝিয়ে দেন জীবনের প্রতি কতখানি কৃতজ্ঞ তিনি। আর প্রত্যাশিতভাবেই সুজানের সেই পোস্টের কমেন্ট বক্সে উপচে পড়ছে মন্তব্য। বাদ পড়লেন না হৃতিকও। প্রাক্তন স্বামী সুজানের সাজানো বাড়ির অন্দরমহল থেকে লেখেন, ‘দুর্দান্ত সুজান, দারুণ সুন্দর লাগছে!’ মালাইকা আরোরা লেখেন, ‘সবচেয়ে সুন্দর বাড়ি’। সুজানকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন বিপাশা, রোহিত রায়রাও।
জুহুর এক হাই রাইজের ১৫তলায় সুজানের এই মনের ঠিকানা। হৃতিকের বাড়ির একদম কাছেই থাকেন সুজান। দুই ছেলে যাতে বাবা-মা'র সঙ্গ পেতে পারে তাই এই ব্যবস্থা। এখন দুই ছেলে রিহান, রিদান এবং তাঁদের তিন চারপেয়ে পোষ্য- প্যারিস, বোল্ড এবং ব্রোনক্সকে নিয়ে এই বাড়িতে থাকেন সুজান।
বছরভর সুজানের ব্যক্তিগত জীবন থেকেছে চর্চায়। অভিনেতা আলি গোনির দাদা আরসলান গোনির সঙ্গে প্রেম সম্পর্কে আবদ্ধ রয়েছেন হৃতিকের প্রাক্তন স্ত্রী তথা সঞ্জয় খান কন্যা, এমনটাই খবর বলিউডে। মাস কয়েক আগেই একসঙ্গে গোয়াও ঘুরে এসেছেন দুজনে। গত ১৯শে ডিসেম্বর ছিল আরসালানের জন্মদিন। এই বিশেষ দিনে প্রেমিককে জড়িয়ে আদুরে শুভেচ্ছা বার্তাও জানান সুজান, বদলে আরসালানের তরফে আসে- ‘লাভ ইউ’ মন্তব্য। বছর শেষে নিজেদের সম্পর্ককে ইনস্টা অফিসিয়্যাল করেই দিয়েছেন দুজনে!
২০০০ সালের ডিসেম্বরে হৃতিকের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন সুজান, ২০১৪ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। তবে বন্ধুত্বের সম্পর্কটা আরও অটুট। এমনকি ছেলেদের স্বার্থে এক ছাদের তলায় থাকতেও কুন্ঠাবোধ করেন না তাঁরা। বাবা-মা'র দায়িত্ব পালনে সর্বদাই দু-পা এগিয়ে হৃতিক-সুজান।