সালটা ২০০০, সেবছরই ঘটা করে বিয়ে করেছিলেন ছোটবেলার দুই বন্ধু হৃত্বিক রোশন-সুজান খান। সুখেই কাটছিল হৃত্বিক-সুজানের সংসার। তবে দীর্ঘ ১৩ বছরের সুখী দাম্পত্যে চিড় ধরে। ২০১৪ সালে সকলকে অবাক করে বিবাহ-বিচ্ছেদের পথেই হাঁটেন বলউডের একসময়ের এই ‘পাওয়ার কাপল’।
তবে সেসবই এখন অতীত। বর্তমানে হৃত্বিক তাঁর প্রেমিকা সাবা আজাদের সঙ্গে থাকেন। আর সুজান থাকেন আরসালান গনির সঙ্গে। সম্প্রতি মেয়ের নতুন সম্পর্ক ও প্রাক্তন জামাই হৃত্বিককে নিয়ে মুখ খুলেছেন সুজানের মা, ডিজাইনার জারিন খান। আরসালানকে নিয়ে জারিন বলেন, ‘আরসালান আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন এবং জম্মুর এক নামকরা রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান ও। আরসালানও অভিনয়ে আগ্রহী, তাই ওর জন্য আমার শুভকামনা রয়েছে। ওর পরিবারও খুব ভালো এবং আমি খুশি যে সুজন ও আরসালান একসঙ্গে ভালো আছে, সুখে আছে।’
জারিন খানের এই কথাতেই স্পষ্ট তিনি হবু জামাই হিসাবে আরসালানকে কাছে টেনে প্রস্তুত তিনি। তবে সুজান ও আরসালান কি সত্যিই বিয়ে করছেন? এবিষয়টি নিয়ে জারিনের বক্তব্য, ‘ভবিষ্যতে কী অপেক্ষা করছে তা কেউ জানে না। সুখী ও স্থায়ী হতে হলে বিয়ে করতে হবে, পুরনো এই ধারণা এখন আর সবসময় চলে না।’
সে যাই হোক, কিন্তু প্রাক্তন 'জামাই' হৃত্বিক রোশনকে এখন কীভাবে দেখেন জারিন খান। তবে কি হৃত্বিক আর আগের মতো জারিনের কাছের নন। মেয়ের নতুন সঙ্গী আরসালানই এখন সব?
জারিন বলেন, ‘ডুগ্গু (হৃতিক রোশন)এখনও আমার ছেলেই আছে। ও একজন চমৎকার মানুষ। ও আর সুজান একসঙ্গে থাকতে পারেনি ঠিকই তবে ওরা একে অপরকে এখনও সবথেকে কাছের বন্ধু হিসাবে ভালবাসে। ওদের ভালো গুণাবলী জন্মসূত্রে ওদের সন্তানদের মধ্যেও রয়েছে। হৃত্বিক-সুজান এখনও একে অপরকে সম্মান করেন এবং ওরা নিজেদের মধ্যে খুব সুন্দর সমীকরণ বজায় রেখেছেন। আমি এটা দেখে খুশি যে ওরা একে অপরের মর্যাদা ও সম্মান বজায় রেখেছে।’
প্রসঙ্গত, ২০০০ সালে বিয়ের পর হৃতিক রোশন ও সুজান খানের জীবনে আসে দুই সন্তান। ২০০৬ সালেরেহান এবং ২০০৮ সালে জন্ম হৃদানের জন্ম হয়। তাই বিচ্ছেদ হলেও নিজেদের সন্তানদের জন্য সুন্দর বন্ধুত্ব বজায় রেখেছেন হৃত্বিক-সুজান। এখনও দুই ছেলের অভিভাবকত্ব একসঙ্গেই পালন করেন দুজনে। করোনা লকডাউন চলাকালীনও একসঙ্গেই ছিলেন তাঁরা। ডিভোর্সের পরও দুই ছেলেকে নিয়ে একসঙ্গে বেড়াতেও গিয়েছিলেন। আরসালান কিংবা সাবা অবশ্য সুজান ও হৃত্বিকের জীবনে এসেছেন বিচ্ছেদের অনেক পরে। তাই ঠিক কী কারণে তাঁদের বিচ্ছেদ হল সেবিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। মাঝে তাঁদের কাছাকাছি আসতেও দেখা গিয়েছিল। তবে তারপরেও পুরনো বন্ধনে আর ফেরেননি হৃত্বিক কিংবা সুজান। কারণ, ততদিনে তাঁদের জীবনে সাবা ও আরসালানের আগমন হয়েছে।