ইরফান খান, অভিনয় দুনিয়ার এই ব্যক্তিত্বটির সঙ্গে আজ হয়ত আর নতুন করে পরিচয় করানোর কিছু নেই। ২০২০-র ২৯ এপ্রিল এই দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে চলে যান জনপ্রিয় এই অভিনেতা, স্মৃতি হিসাবে রেখা যান নিজের অভিনীত বেশকিছু স্মৃতি। যদিও কেরিয়ারের শুরুর দিকেই বিশেষ সাফল্য পাননি তিনি। ২০১২ সালে 'পান সিং তোমর' মুক্তি পাওয়ার পর ইরফানের অভিনয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন বহু সিনেমাপ্রেমী থেকে ফিল্ম সমালোচকরা। ছবির দৌলতেই জাতীয় পুরস্কারও এসেছিল ইরফানের ঝুলিতে। ২০২১ সালে পদ্মশ্রীও পান ইরফান।
আগামী ৭ জুন প্রকাশিত হতে চলেছে ইরফান খান: এ লাইফ ইন মুভিজ নামে একটি বই। যে বইতে উঠে আসবে ইরফান পত্নী সুতপা সিকদারের সাক্ষাৎকারের বেশকিছু অংশ। যেখানে সুতপা ইরফানের সেরা পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলেছেন। PTI-কে ইরফান প্রসঙ্গে সুতপা বলেছিলেন, ‘আরে বাহ তুই তো কামাল করে দিলি, নাহ এটা আমি কখনও বলি নি, তবে আমি অনুভব করেছি। পান সিং তোমারের সময় আমি দেখেছিলাম, চরিত্রটির মধ্যেই ইরফান বেঁচেছিলেন। যেটা দেখে আমি কেঁদেছিলাম, ইরফানও কেঁদে ফেলে বলেছিল, সেবারই প্রথম নাকি আমি ওর ভালো অভিনয়ের কথা স্বীকার করেছিলাম।’
ইরফান অভিনীত তাঁর পছন্দর ছবি, চরিত্রগুলির কথা বলতে গিয়ে আমেরিকান নাটক টেলিভিশন সিরিজ ‘ইন ট্রিটমেন্ট’, ‘করিব করিব সিঙ্গেল’ এবং ‘মকবুল’-এর কথা উল্লেখ করেন সুতপা সিকদার। সুতপার অনুভূতি কিছু দৃশ্যের জন্য ইরফান তাঁর আইডল নাসিরুদ্দিন শাহকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন। ইরফান খান: এ লাইফ ইন মুভিজ বইটিতে ইরফান প্রসঙ্গে সুতপা সিকদারের নানান কথা রয়েছে, যেখানে ইরফানের NSD(ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা)র পড়ার সময় থেকে টেলিভিশন ও ধীরে ধীরে সিনেমায় অভিনয় করা প্রসঙ্গে নানান কথা উঠে এসেছে।
ইরফান খানকে বিয়ে করা প্রসঙ্গে সুতপা সিকদার বলেন, ‘ইরফান ঠিক স্বামী হওয়ার মতো ছেলে ছিলেন না, কিন্তু ও ভয় পেত যদি আমি ওকে ছেড়ে চলে যাই। বিশেষ কেউ এই অনুভূতিটা কখনও হয়নি। তবে আমি জানতাম, আমি ওর সঙ্গেই রয়েছি, কারণ ও আমাকে ছাড়া জীবন ও কল্পনা করতে পারত না। এই কথাটা হয়ত অন্যরকম শোনাচ্ছে, তবে বহু বছর ও আতঙ্কে ভুগেছে, আমি বুঝি ছেড়ে পালাব।’