আজ মহারাষ্ট্র নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হচ্ছে। এবার এখানকার অনুশক্তি কেন্দ্রে এনসিপি বনাম এনসিপি লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিলেন দুই নবাগত বা বলা ভালো প্রথমবারের জন্য নির্বাচন লড়ছেন এমন দুজন, সানা মালিক এবং ফাহাদ আহমেদ। আর সেখানেই সানার কাছে পরাজিত হলেন ফাহাদ।
পরাজিত ফাহাদ আহমেদ
এদিন সানা মালিক প্রায় ৩৪০০ ভোটে জয়ী হন। নওয়াব মালিকের গড় হলেও একাধিক কেসে জর্জরিত তিনি, এমন অবস্থায় তাঁকে প্রার্থী করার বদলে তাঁর মেয়েকে প্রার্থী করা হয়। কিন্তু শেষ হাসি হাসলেন তাঁর মেয়েই। যদিও বর্তমানে বেলে বাইরে থাকা নওয়াব মালিক এই কেন্দ্র থেকে ২০০৯ এবং ২০১৯ সালে বিজয়ী হয়েছিলেন।
ফাহাদ আহমেদ এসপির সদস্য ছিলেন। তবে তিনি সম্প্রতি এনসিপি এসসিপি যুক্ত হন সম্প্রতি। অ্যান্টি সিএএ মুভমেন্টে যোগ দেন তিনি। আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন সেই সময় থেকেই তিনি সক্রিয় ভাবে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
স্বামীর হারের প্রসঙ্গে স্বরা ভাস্কর বলেন, 'ফাহাদ জিতছিল হঠাৎই ইভিএমগুলো খুলে দেওয়া হল। সারাদিন ধরে যে মেশিনগুলোতে ভোট পড়ল তাতে কীভাবে ৯৯ শতাংশ ব্যাটারি থাকতে পারে? ৯৯ শতাংশ ব্যাটারি থাকা ইভিএমগুলোর ভোট কীভাবে সব বিজেপি এবং তার সমর্থিত পার্টির প্রার্থীরা পেল?'
ফাহাদ নিজেও মনে করছেন ভোটের রেজাল্টে কিছু কারচুপি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, চলতি ভোটের সময়ও প্রচার করতে গিয়ে বিতর্কের মধ্যে পড়েন স্বরা। যেভাবে তিনি মাথা ঢেকে ইমামের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন, সেই নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছিল। তাহলে কী ফাহাদ জোর করে স্বরাকে এরকম জামাকাপড় পরালেন, সেই প্রশ্নও উঠেছিল। যদিও তারপরই নিজের বিভিন্ন পোশাক দিয়ে ছবি পোস্ট করে নিজের স্বামীর সমর্থনে মাঠে নামেন স্বরা। যেভাবে স্বরা স্বামীর সমর্থনে একটি জনসভায় বক্তব্য রেখেছিলেন, তার মধ্যেও মুসলিম তোষণ খুঁজে পেয়েছিলেন অনেকে। শেষ পর্যন্ত যদিও ভোটে হার হল ফাহাদের। তবে নির্বাচনী রাজনীতি থেকে স্বরা বা তাঁর স্বামী যে বিদায় নেবেন না, সেটা কার্যত বলাই যায়।