দিন কয়েকের মধ্যেই ১৮০ ডিগ্রী ঘুরে গেলেন স্বস্তিকা দত্ত! টেলিভিশনে কামব্যাক প্রসঙ্গে গত ১১ নভেম্বর অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন- 'এরকম কোনো বিষয় নিয়ে আমি এখনও কিছু জানি না' কিন্তু চারদিনেই বদলে গেল সবকিছু! ছোটপর্দায় কামব্যাকের কথা নিজের মুখেই জানালেন অভিনেত্রী। দেড় বছর পর ফিরছেন স্বস্তিকা, তাও আবার ভেন্ট্রিলোকুইস্টের চরিত্রে! শুধু বাংলা কেন, এর আগে হিন্দি টেলিভিশনেও কোনও নায়িকাকে ভেন্ট্রিলোকুইস্টের চরিত্রে দেখা গিয়েছে বলে মনে পড়ে না!
এই আর্টফর্মকে বলা হয় ভেন্ট্রিলোকুইজম। মঞ্চে দাঁড়িয়ে পুতুল হাতে কথা বলেন শিল্পী। কিন্তু মায়াস্বরী (ভেন্ট্রিলোকুইস্ট) এমনভাবে কথা বলেন যাতে পুতুলের কন্ঠস্বর যে তাঁরই তা বোঝবার জো থাকে না। তাই এই চরিত্র ফুটিয়ে তোলা কম বড় চ্যালেঞ্জ নয় তা বেশ স্পষ্ট। এক সাক্ষাৎকারে স্বস্তিকা জানিয়েছেন, ‘দীর্ঘসময় পর ছোটপর্দায় ভেন্ট্রিলোকুইস্টের চরিত্রে অভিনয় করতে পেরে ভালো লাগছে। চিরাচরিত গল্পের চেয়ে এটি আলাদা। এই চরিত্রের জন্য নিয়মিত কন্ঠস্বরের তালিম নিতে হচ্ছে, চর্চা করছি'।
এই সিরিয়ালে স্বস্তিকার বিপরীতে থাকছেন ‘জড়োয়ার ঝুমকো’ খ্যাত শুভঙ্কর সাহা। ধারাবাহিকে দেখা যাবে দাদা-বৌদির মৃত্যুর পর তাঁদের সন্তানকে দত্তক নেবে শুভঙ্কর। ভেন্ট্রিলোকুইস্ট স্বস্তিকা কীভাবে জড়িয়ে পড়বে এই কাকা-ভাইঝির সম্পর্কের মাঝে? এখনও কিছুই স্পষ্ট নয়।
টেলিপাড়া সূত্রে খবর, আগামী ১৬ ও ১৭ তারিখ এই সিরিয়ালের প্রোমোর শ্যুটিং হবে। এই সিরিয়াল পরিচালনরা দায়িত্বে থাকছেন বাবু বণিক, ‘শশী সুমিত প্রোডাকশন’-এর আওতায় তৈরি হচ্ছে জি বাংলার এই নয়া সিরিয়াল। জানা যাচ্ছে, জি বাংলার রাত ৯.৩০টার স্লটে সম্প্রচারিত হবে এখনও পর্যন্ত নাম ঠিক না হওয়া এই ধারাবাহিক। এখন প্রশ্ন হল ‘লালকুঠি’র শ্যুটিং তো ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। নভেম্বরের শেষ থেকে রাত ৯.৩০টার স্লটে যাওয়ার কথা ছিল ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’-এর। তাহলে এই মেগার ভবিষ্যত কী? সেই নিয়ে রয়েছে বিস্তর ধোঁয়াশা। ডিসেম্বর থেকে নাকি সম্প্রচার শুরু স্বস্তিকা-শুভঙ্করের নয়া মেগার। তাহলে কি শেষ হয়ে যাবে এই পথ যদি না শেষ হয়?
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ‘জনি বনি’, ‘আনন্দ আশ্রম’-এর মতো ওয়েব সিরিজে দেখা মিলেছে স্বস্তিকা দত্তর। হাতে রয়েছে ‘গভীর জলের মাছ’-এর মতো প্রোজেক্ট। এছাড়াও বড় পর্দায় ‘ফাটাফাটি' ছবিতে থাকছেন স্বস্তিকা, এই ছবিতে লিড রোলে রয়েছেন আবির ও ঋতাভরী।