সদ্যই পর্দায় বিয়ে সেরেছেন ‘কি করে বলবো তোমায়’ ধারাবাহিক খ্যাত অভিনেত্রী স্বস্তিকা দত্ত । জানা গিয়েছে , পর্দায় বিয়ে সেরে বর্তমানে দারুন উত্তেজিত অনুরাগীদের হৃদয়ের 'রাধিকা' | কলারটিউনে মাখো মাখো প্রেমের গান থেকে শুরু করে অন দ্য ফ্লোর বা বিহাইন্ড দ্য ক্যামেরা , সারাক্ষণই বেশ চনমনে প্রাণোচ্ছল রোমান্টিকতা যেন ঘিরে রেখেছে স্বস্তিকাকে । তবে কি অনস্ক্রিনে সিঁদুর পড়ার সাথে সাথে বাস্তব জীবনের রঙ্গমঞ্চেও সানাই বাজিয়ে নতুন ইনিংস শুরু করতে চলেছেন এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী ?
আনন্দবাজার ডিজিটালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্বস্তিকা জানান পর্দার কর্ণ সেন অর্থাৎ অভিনেতা ক্রুশল আহুজা এমন পুরুষালি ভঙ্গিমায় সিঁদুর পড়িয়েছেন , তারপরে কোনও মেয়ের পক্ষেই সম্ভব নয় সেই আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করে চুপ করে থাকা । এতটাই ন্যাচারাল ভাবে হয়েছে পুরোটা , যেন সত্যিই সিঁদুরদান পর্ব চলছে । সেদিন আমি বিনা মেক আপে ছিলাম । এমন জোশের সাথে সিঁথিতে সিঁদুর পরালো কর্ণ , নাকের ওপর কিছুটা গুঁড়ো সিঁদুরও এসে পড়লো ,বিশ্বাস করুন সেদিন স্বস্তিকা কেঁদে ভাসিয়েছে , রাধিকা নয় । এক টেকে শট ওকে হয়ে যায় । শুধু তিনি নিজেই কেঁদে-কেটে একাকার হয়েছেন তা নয় , চোখের জল ফেলতে সেদিন একটুও গ্লিসারিন কাউকে ব্যবহার করতে হয়নি বলেই জানিয়েছেন স্বস্তিকা ।
তবে কি পর্দার রাধিকার সাত পাকে বাঁধা পড়া নিছকই স্বস্তিকার ডেমো পর্বের অনুশীলন ? এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী জানান ‘ পর্দার রাধিকা ভালোবাসতে জানলেও , স্বস্তিকা কিন্তু জানে ভালোবাসা পেতে । তবে পর্দার কর্ণের মতো ইনম্যাচিওর্ড কারুর গলায় কখনোই মালা দেব না আমি । তবে রিয়াল লাইফে আমি আর ক্রুশল হয়তো মিসম্যাচ নই , কিন্তু পর্দার জুটি বাস্তব জীবনে চলে এলে , কাজ থেকে ফোকাস হারিয়ে যায় । এটা ক্রুশলও মানে, আমরা খুব ভালো বন্ধু ‘ । আর কাজ ছাড়া বাঁচতে পারা অসম্ভব বলেই জানিয়েছেন 'ভজগোবিন্দ’র সুবাদে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসা এই নায়িকা।
পাশাপাশি নায়িকা এও জানিয়ে দিলেন পালিয়ে বিয়েতে সায় নেই তাঁর। বরং ডেস্টিনেশন ওয়েডিং করতে চান তিনি। রূপকথার সেই রাজ্যে সঙ্গে থাকবে পরিবার আর কাছের বন্ধুরা। সবটাই হতে হবে স্বপ্নপুরীর মতো, জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
বর্তমানে পর্দার বিয়ের পরে সোশ্যাল মিডিয়াতে জনপ্রিয়তা এক ধাক্কায় বেড়ে গিয়েছে বলে জানান অভিনেত্রী | তাঁর ইনস্টাগ্রাম ফলোয়ার বর্তমানে দেড় লক্ষ , ফেসবুক পেজে সংখ্যাটা সত্তর হাজার ছাড়িয়েছে | ৮৪ দিনের লকডাউন পর্বটা বাড়ি বসেই মেডিটেশন আর পুরোনো এপিসোড দেখে নিজের অভিনয়ের ভুল ত্রুটি সংশোধন ও চর্চার মধ্যেই কাটিয়েছেন বলে জানালেন এই টেলিতারকা ।
তবে স্বস্তিকার এতো চোখের জল শুধুই কি সীমন্তে সিঁদুরের আবেগ ? এবার কিন্তু পর্দার রাধিকার বুকের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে হারিয়ে যাওয়া মেয়েবেলার এক পুরোনো প্রেমের উপাখ্যান যা বিয়ে পর্যন্ত এগোতে গিয়েও আচমকাই হারিয়ে গিয়েছিলো । কে জানে , হয়তো মনের গহীন কোণের সেই গোপন ব্যাথাই হয়তো আজ ভোলেনা নিজের অশ্রুর দাবিটুকু ছিনিয়ে নিতে ।