কখনও তিনি মন ভরে রাস্তার গোলার স্বাদ নিচ্ছেন, কখনও আবার ব্যস্ত রুটিনের ফাঁকেই চলছে রেস্তরাঁ-টহল। অভিনেত্রী স্বস্তিকা দত্তকে ভোজনরসিক বললে তা অত্যুক্তি হবে না। কিন্তু ইচ্ছেমতো রসনাতৃপ্তির পরেও কী ভাবে এমন ছিপছিপে চেহারা বজায় রেখেছেন 'কী করে বলব তোমায়'-এর রাধিকা? জানল হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
খাওয়াদাওয়া নিয়ে আগাগোড়াই সচেতন স্বস্তিকা। প্রাতঃরাশ থেকে নৈশভোজ— দেখে নেওয়া যাক কী কী আছে তাঁর ডায়েট তালিকায়।
প্রাতরাশ (শ্যুট থাকলে)
ঘুম থেকে ওঠার পরেই অনেকটা জল খেয়ে নেন স্বস্তিকা। তার পর থাকে টক দই, মুইজলি এবং কাঠবাদাম।
প্রাতরাশ (শ্যুট না থাকলে)
এই দিনগুলিতে সকালে উঠে বিশেষ কিছু খান না স্বস্তিকা। জল এবং কয়েকটি ওটস বিস্কুট খেয়ে জিমে চলে যান। ফিরে মধ্যাহ্নভোজ সারেন।
মধ্যাহ্নভোজ
বাড়িতে থাকলে দুপুর দেড়টার মধ্যে মধ্যাহ্নভোজ সেরে ফেলার চেষ্টা করেন অভিনেত্রী। তিনটি ডিমের সাদা অংশ, যে কোনও একটি তরকারি এবং চিকেন বা মাটন দিয়ে দুপুরের খাওয়া সারেন তিনি। স্বস্তিকা মাছ খেতে পছন্দ করেন না। তবে ইলিশ কিন্তু ব্যতিক্রম।
নৈশভোজ
রাতে সাধারণত শর্করা-জাত খাবার এড়িয়ে চলেন স্বস্তিকা। তবে অনেক সময় নৈশভোজের জন্য বরাদ্দ রাখেন একটি রুটি এবং তরকারি। আর ওজন ঝরাতে চাইলে ভরসা রাখেন চিকেন স্ট্যুয়ের উপর। সূর্যাস্তের আগে আগে বা সন্ধ্যা সাড়ে ছ'টা থেকে সাতটার মধ্যে নৈশভোজ সেরে ফেলেন অভিনেত্রী।
আর এই তিন বেলার মাঝে খিদে পেলে? শ্যুটে থাকলে ব্যাগে প্রোটিন শেক রাখেন স্বস্তিকা। এ ছাড়াও থাকে বেদানা এবং ওটস বিস্কুট। খিদে পেলে সেগুলিই ভরসা। চা বা কফি বিশেষ পছন্দ করেন না স্বস্তিকা। ডায়েট থেকে পুরোপুরি ভাবে ছেঁটে ফেলেছেন চিনিকে।
কড়া ডায়েটের পাশাপাশি নিয়মিত দেড় ঘণ্টা করে শরীরচর্চা করেন স্বস্তিকা। জিমে গিয়ে কার্ডিও করেন তিনি। তবে এত কড়াকড়ির মাঝেও ইচ্ছেমতো ডায়েট ফাঁকি দেন। সিজলার আর চিকেন প্ল্যাটার দিয়ে চলে 'চিট ডে' উদযাপন।