রবিবার ২৮ মে মুক্তি পেয়েছে রণদীপ হুডা অভিনীত এবং পরিচালিত ছবি স্বতন্ত্র বীর সাভারকর। অভিনেতা এই ছবির পোস্টার এবং টিজার ভিডিয়ো এদিন এই স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা হিন্দু মতাদর্শে বিশ্বাসী ভিডি সাভারকরের ১৪০ তম জন্মবার্ষিকীর দিন প্রকাশ করেন। এবং লেখেন তাঁর থেকেই নাকি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, ক্ষুদিরাম বসু, ভগৎ সিং অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন। ব্রিটিশদের তালিকায় মোস্ট ওয়ান্টেড ভারতীয় হিসেবে নাম ছিল বলে দাবি করেন। আর এই পোস্ট প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে সমালোচনা।
স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, চন্দ্রচূড় ঘোষ, প্রমুখ সরব হন এই লেখার বিরুদ্ধে। স্বস্তিকা এদিন টুইটারে তাঁর মত প্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, 'ক্ষুদিরাম বসু মাত্র ১৮ বছর বয়সে মারা গিয়েছেন। কেউ তার আগেই তাঁকে স্বাধীনতা সংগ্রামে যুক্ত হওয়ার জন্য অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন? নেতাজি নেতাজি হয়েছিলেন কারণ কেউ তাঁকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন বলে! ভগৎ সিংয়ের ইতিহাস সবার জানা। তাহলে পৃথিবীর ঠিক কোন জায়গা থেকে এই অনুপ্রেরণামূলক গল্পগুলো প্রকাশ্যে আসছে?'
প্রায়ই একই মত পোষণ করেছেন চন্দ্রচূড় ঘোষ। যে ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে নিয়ে গবেষণা করেছেন, নানা অজানা তথ্য খুঁজে বের করে এনেছেন তিনিও রণদীপের এই পোস্টে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। তিনি ফেসবুকে এই বিষয়ে লেখেন, 'সাভারকর নেতাজি, ক্ষুদিরামকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন? সত্যি? এরম কল্পনা করার অর্থটা কী? উনি মানুষ হিসেবে কেমন ছিলেন শুধু সেটুকু ছবিতে বললেই তো হয়। সেটাই তো যথেষ্ট। গান্ধীবাদীরা তাঁর সঙ্গে যেটা করেছেন সাভারকরকে নিয়ে দয়া করে সেই এক জিনিস করবেন না।'
প্রসঙ্গত এই ছবিতে নাম ভূমিকায় দেখা যাবে রণদীপ হুডাকে। এই ছবিটির পরিচালনা তিনিই করেছেন। হ্যাঁ, এটির হাত ধরেই পরিচালক হিসেবে তাঁর হাতে খড়ি হল। পাশাপাশি উৎকর্ষ নৈথানির সঙ্গে মিলে তিনি এই ছবির কাহিনি লিখেছেন।
প্রসঙ্গত এই ছবির প্রযোজনা করেছেন রণদীপ হুডা, আনন্দ পণ্ডিত এবং সন্দীপ সিং। অমিত সিয়াল এবং অঙ্কিতা লোখান্ডেকেও এই ছবিতে দেখা যাবে। চলতি বছরেই এই ছবিটি মুক্তি পাবে।