বুধবার ইডেনে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দাপট দেখাচ্ছে টিম ইন্ডিয়া। সেই ম্যাচ শুরু আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। দীর্ঘ ফেসবুক পোস্টে অনলাইন ডেলিভারি অ্যাপের প্রতিনিধির বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ আনলেন অভিনেত্রী। স্বস্তিকার দাবি মঙ্গলবার, সুইগি জিনি-র প্রতিনিধি ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের দুটো টিকিট নিয়ে রীতিমতো বেপাত্তা! আরও পড়ুন-‘গেরুয়া রং দেখলেই লাল করে দাও’, মুঘল-মারাঠা দ্বৈরথ নিয়েই ভিকির ‘ছাবা’, ঔরঙ্গজেব-রূপী বলি নায়ককে চিনলেন?
তবে স্বস্তিকা নিজের নয়, তাঁর আপ্তসহায়ক সৃষ্টি জৈনের সঙ্গে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। সকলক সচেতন করে নায়িকা লেখেন, ‘আমার সঙ্গে যা ঘটেছে, তা আপনার সঙ্গেও ঘটতে পারে’। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ জিনিস পৌঁছানোর অন্যতম মাধ্যম সুইগি জিনি। অথচ সেই অ্যাপের সাহায্য নিয়েই বেকায়দায় স্বস্তিকার ম্যানেজার।
ফেসবুক পোস্টে স্বস্তিকা লেখেন, ‘ইডেনে ভারত বনাম ইংল্যান্ডের আজকের ম্যাচের দুটি টিকিট চুরি করেছেন সুইগি ইন্ডিয়ার জিনি এক্সিকিউটিভ। এটি নিউ টাউন অ্যাকশন এরিয়া ২ থেকে নিউ টাউন অ্যাকশন এরিয়া ১ এ সরবরাহ করার কথা ছিল। ১৩ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে এবং কোম্পানির কাছে তার বিবরণ থাকা সত্ত্বেও এখনও চোর ধরা পড়েনি। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় টিকিট পৌঁছে দেওয়ার অর্ডার দেওয়া হয়েছিল। সঠিক পথেই ডেলিভারি আসছিল এমনটাই অ্যাপে দেখায়। এক ঘন্টা পরে, ডেলিভারি পার্টনার আমাকে এবং আমার সঙ্গীর নম্বরটি ব্লক করে দেয় এবং অন্য কোনও নম্বর থেকেও কল নেওয়া বন্ধ করে দেয়। ভোর ৫.৩৭ মিনিটে দেখা যায় অর্ডারটি ডেলিভার হয়েছে বলে অ্যাপে দেখাচ্ছে । ১৩ ঘন্টারও বেশি সময় হয়ে গেছে এবং সুইগি কোনওভাবেই সাহায্য করেনি। সুইগি বা অন্যান্য ডেলিভারি প্যাটফর্মগুলি কি এইভাবে পার্সেল চুরির প্রচার করে নিজেদের ব্র্যান্ডকে সেফগার্ড করতে?’
স্বস্তিকার পোস্ট থেকে জানা গিয়েছে তাঁর ম্যানেজার সৃষ্টি তাঁর সঙ্গীর বাবার জন্য বুধবারের ম্যাচের টিকিট অর্ডার করেছিলেন। বিরাট ক্রিকেট ভক্ত হওয়া সত্ত্বেও জীবনে কখনও মাঠে উপস্থিত হয়ে ম্যাচ দেখেননি তিনি, তাই কানপুর থেকে এই ম্যাচটি দেখতে কলকাতা এসেছিলেন। গোটা ঘটনায় রীতিমতো হতাশ সকলেই। এই নিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হবে না, সে কথা ভালোভাবেই জানেন সৃষ্টি। তবে সংশ্লিষ্ট ডেলিভারি সংস্থার আচরণে ক্ষুব্ধ তিনি।
স্বস্তিকার পোস্টে অনেকেই দাবি করেছেন, এই ডেলিভারি সংস্থার তরফে এই ধরণের সমস্যার মুখোমুখি তাঁরাও হয়েছেন। কিন্ত প্রত্যেকবারই দায় ঝেরে দিয়েছে কোম্পানি।