স্বস্তিকা মানেই সবকিছুতেই ছকভাঙা। স্বস্তিকা মানেই টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে সাহসিতার আরেক নাম। স্বস্তিকার অভিনয় দক্ষতা নিয়ে নতুন করে কিছু বলবার নেই, পাশাপাশি নায়িকার ফ্যাশন স্টেটমেন্টও সবসময় লাইম লাইট কাড়ে। টলিপাড়ার পাশাপাশি এখন বলিউডেও পরিচিত মুখ এই সুন্দরী, বৃহস্পতিবার মুক্তি পেল তাঁর নতুন হিন্দি প্রোজেক্ট ‘কালা’ (Qula)। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে এই ছবি।
ছবির প্রচারে একগুচ্ছ বোল্ড লুকে ধরা দিয়েছেন স্বস্তিকা। কখনও ব্রায়ের সঙ্গে ব্লেজার চাপিয়ে নজর কেড়েছেন তো কখনও সাবেকি শাড়িতে। এক ইভেন্টে গোলাপি রঙা করসেট টপের সঙ্গে লেসের পাড় বসানো ফ্লোরাল প্রিন্টেট ট্রান্সপারেন্ট শাড়িতে ধরা দিয়েছেন নায়িকা। করসেট টপ ঠেলে বেরিয়ে আসছে তাঁর সুডৌল স্তনযুগল। অভিনেত্রীর এই আগুন লুকে তো ঘায়েল লাখো পুরুষ হৃদয়। তাঁর রূপের ছটা দেখলে বোঝা দায় যে চল্লিশের কোটা আগেই পার করেছেন স্বস্তিকা। আসলে ভক্ত মনের ধুকপুকানি বাড়াতে স্বস্তিকা বরাবরই ওস্তাদ।
এদিন ফ্লোরাল প্রিন্টেট শাড়ির সঙ্গে স্টেটমেন্ট নেকলেস আর দুলে নিজেকে সাজালেন স্বস্তিকা। চোখের গ্লিটারি মেকআপও নজরকাড়া। অভিনেত্রীর পোস্টের কমেন্ট বক্সে একদিকে যেমন প্রশংসার বন্যা, তেমন ট্রোলারদেরও কমতি নেই। এক জনৈক স্বস্তিকার পোস্টে লিখে বলেন, ‘বয়সের সাথে সাথে পোশাকগুলো চেঞ্জ করুন ভালো লাগবে’। জবাবে স্বস্তিকা পালটা লেখেন- ‘কার ভালো লাগবে? আপনার ভালো লাগার জন্য করব না নিজের? আমি অবশ্য পরেরটাতে (নিজের ভালো লাগা) বিশ্বাস করি। ধন্যবাদ’।
স্বস্তিকার এই জবাব মন জিতে নিয়েছে তাঁর ভক্তদের। পাশাপাশি তাঁরা জানিয়েছেন, ‘তোমার স্টাইল ফাটাফাটি, যদি তোমার মতো হতে পারতাম’। নিন্দকদের কোনওদিনই পাত্তা দেন স্বস্তিকা।
সোশ্যাল মিডিয়া ট্রোলিং নিয়ে মাস কয়েক আগে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘আজ শুধু আমি কেন ,যে কোনও মেয়ে যদি পুরুষের মতো মদের দোকানে যায় ,শর্টস পরে, সিগারেট খায় সাথে সাথে প্রশ্ন উঠবে। কিন্তু চুপ করে থাকার তো কোনো মানে নেই, প্রতিবাদ করতে হবে। না করলে সোশ্যাল মিডিয়াতে থাকারও মানে নেই। আজ আমি যদি এক মাথা সিঁদুর পরে থাকি তখন আমায় একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে শুনতে হবে ব্যাক ডেটেড , আবার না পড়লে শুনতে হবে আমি সংস্কার মানি না। তখন কেন শাঁখা সিঁদুর পড়া উচিৎ, ভারতীয় নারীর ইতিহাস ভূগোল একেবারে পিন্ডি চটকে মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। কাজেই সমস্যা দুদিকেই। এখন আমি চিৎকার করছি ,আজ থেকে একশো বছর পরে অন্য কেউ করবেন,ব্যাপারটা চলতেই থাকবে বলে আমার মনে হয়’।