বয়স তাঁর কাছে সংখ্যা মাত্র, ওসব নিয়ে নায়িকা মোটেই কেয়ার করেন না। বহু মানুষের ক্রাশ তিনি। বহু পরিচালকের পছন্দের অভিনেত্রী। তার মধ্যে আবার মায়া নগরী মুম্বইতেও পাড়ি জমিয়েছেন। টলি-বলি সব মিলিয়ে ভীষণই ব্যস্ততা মধ্যে কাটছে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের। এই মুহূর্তে একাধিক ছবির শ্যুটিং করছেন, সঙ্গে জমিয়ে চলছে ছবির প্রচারও। কিন্তু এই সবটা করতে করতে কখনও কি ক্লান্ত বোধ হয় তাঁর? সবাইকে না বলে কয়েকটা দিনের জন্য কি নিখোঁজ হতে ইচ্ছে হয়? এইসব নিয়ে হিন্দুস্থান টাইমস বাংলার সঙ্গে খোলামেলা আড্ডায় মেতে উঠলেন স্বস্তিকা।
১) এত কাজের চাপ, কখনও কি সবাইকে না জানিয়ে ‘নিখোঁজ’ হতে ইচ্ছে হয়?
স্বস্তিকা: না, আমি কাজ করতে খুব ভালোবাসি। এই কাজের চাপটা আমার খুব ভালো লাগে। যখন পর পর নাইট শিফট চলে কিংবা অনেকদিন ধরে অনেক বেশি সময় কাজ করতে হয়, মনে হয় ৫-৬ দিন ছুটি পেলে ভালো হত। কিন্তু তখন যদি একটা গোটা দিন বাড়িতে থেকে বিশ্রাম করি, তাহলে পরের দিন থেকেই আবার কাজ করতে মন চায়।
২) তাহলে কাজের কথায় ফেরা যাক, ‘নিখোঁজ ২’-এ আগের সিজনের থেকে ‘বৃন্দা বসু’-কে বেশ অন্যরকম ভাবে পেলাম...
স্বস্তিকা: হ্যাঁ, এবারে আমার চরিত্রটা অনেক বেশি বলিষ্ঠ, ফোকাস। আগের সিজনে আমরা গুটিগুলো সাজিয়েছিলাম, আর এই সিজনে সবাই 'বেড়ে' খেলছে। কখনও একটা মানুষ তো ওয়ান ডাইমেনশনে হয় না, 'বৃন্দা'র ক্ষেত্রেও তাই। ‘বৃন্দা’ শুধুই একজন পুলিশ অফিসার নয়, সে একজন মা-ও। তাঁর নিজের মেয়ে হারিয়ে গিয়েছে, 'দিতি'র সঙ্গে আসলে কী হয়েছে, বৃন্দা তা জানে না। ফলে সে যখন একা থাকছে, তখন নিজেকে ধরে রাখতে পারছে না, অস্থির হয়ে উঠছে, সেই সবটা এবার দেখা যাবে 'সিজন ২'-এ। দর্শকরাও তাঁদের সব প্রশ্নের উত্তর পাবেন।
আরও পড়ুন: 'মীরাকেল্ল'-এর পর আবার মৃন্ময়-মীর একসঙ্গে! বড় পর্দায় এবার হিরো ‘সিনেবাপ’, আসছে খাঁচা
৩) কিন্তু আবার মায়ের চরিত্র, আপনি তো নিশ্চয়ই জানেন যে আপনি বহু মানুষের ক্রাশ, সেই ইমেজটা ভেঙে এতটা সহজে পর্দায় বার বার 'মা' হয়ে উঠতে কখনও দ্বিধা হয়নি?
স্বস্তিকা: আমি কুড়ি বছর বয়স থেকে মায়ের চরিত্রে অভিনয় করছি। আমার জীবনে প্রথম ছবি ছিল 'মস্তান', জিতের সঙ্গে। সেখানেও আমি মায়ের চরিত্রেই অভিনয় করেছিলাম। আমার দশ বছরের একটা বাচ্চা দেখানো হয়েছিল। তাই দর্শক আমাকে শুরু থেকেই মায়ের চরিত্রে দেখেছেন। কিন্তু তাতেও তো তাঁরা ক্রাশ খেয়েছেন। ফলে আমার মনে হয় না যে, মায়ের চরিত্র না করে শুধুই নায়িকা থাকলে মানুষ আমাকে বেশি ভালোবাসা দিতেন, বা আমার উপর বেশি করে ক্রাশ খেতেন। আমি মনে করি যে মানুষ আমাকে ভালোবাসেন, আমার কাজ দেখতে চান আর সঙ্গে আমার ব্যক্তিত্বটাও হয়তো কিছুটা ম্যাটার করে। আর তাছাড়া আমি যখন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে শুরু করেছিলাম তার আগেই আমার মেয়ের জন্ম হয়ে গিয়েছিল। আমি রিয়েল লাইফ মাদার। মা হয়েই আমি ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে ঢুকেছি। কিন্তু তাও মানুষ ক্রাশ খেয়েছেন।
৪) কিন্তু অনেকে বলেন বিয়ে করলেই নাকি অভিনেত্রীদের কাজ পেতে সমস্যা হয়, সেখানে সন্তান জন্মের পর ইন্ড্রাস্টিতে আসা, কাজ পেতে কখনও সমস্যা হয়নি?
স্বস্তিকা: না, এই কারণে কখনও কাজ পেতে সমস্যা হয়নি। কাজ না পাওয়াটা অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। প্রত্যেকটা ইন্ডাস্ট্রিতেই সেটা থাকে। সব জায়গায়তেই একটা লবি কাজ করে। সেই কারণে হয়তো কাজ পেতে সমস্যা হতে পারে। কিন্তু আমার সন্তানের জন্য আমি কাজ পাইনি, এটা কখনই নয়। আর তাছাড়া আমার সবসময় লক্ষ্য ছিল যে আমার দক্ষতা দিয়ে নিজের অভিনয়টা এমন পর্যায়ে নিয়ে যাব যেখানে মানুষ আমার বিকল্প পাবে না। আর আমি এখনও সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।
৫) তবে এখন তো মেয়ে বড় হয়েছে, আর সময়টা তো খুব একটা ভালো না, সিজন ওয়ানে দেখেছিলাম আপনার পর্দার মেয়ে ‘দিতি’ তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে রাতে পার্টি করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়, মা হিসেবে এই বিষয়গুলো ভাবায়?
স্বস্তিকা: বড় হচ্ছে বলে আলাদা করে বিষয়গুলো ভাবাচ্ছেন এমনটা কিন্তু নয়। বাবা-মা একবার হয়ে গেলে চিন্তাটা নিয়েই উপরে (মৃত্যুর কথা বলেছেন অভিনেত্রী) যেতে হবে। আর তার মধ্যে আমার মেয়ে তো বাইরে থাকে। কাছে থাকলে হয়তো অনেক কিছু সামলে নেওয়া যায়। কিন্তু দূরে থাকলে টেলিফোন ছাড়া গতি নেই। তাই আমার ফোন কোনও দিন সুইচড অফ থাকে না। শুধু মনে হয় কোনও কারণে ফোন করে ও যদি আমাকে না পায়। তাই সাত দিন ২৪ ঘন্টা সব সময় খোলা থাকে। আর তাছাড়া ওর ফোন নম্বরটা ইমার্জেন্সি করা আছে, যাতে করে আমার ফোন যদি সাইলেন্টও থাকে, তাও ও ফোন করলে রিং হয়। এমনকী আমার সব সেটেও বলা থাকে যে, যদি আমার মেয়ে ফোন করে তাহলে সেটা আমাকে ধরতে দিতে হবে।
৫) এই যে এতটা চিন্তায় থাকতে হয়, কেন সমাজে এই বিষয়গুলো এখন এত বেশি হচ্ছে বলে আপনি মনে করেন? বাবা-মায়েদেরই বা এক্ষেত্রে কী করণীয়?
স্বস্তিকা: একটা মেয়ে হিসেবে বা একজন মেয়ের মা-বাবা হিসেবে সত্যি কিছু করণীয় নেই, কেবল চিন্তা করা ছাড়া। এটা খুব সত্যি কথা যে, আজও একটা মেয়ে বাড়ি থেকে বের হলে তার বাবা-মা ভাবেন, তাঁদের মেয়ে যেমন সুস্থ ভাবে বেরিয়েছে, তেমন সুস্থ ভাবেই যেন বাড়িতে ফেরে। বাবা-মায়েদের সব সময় একটা ভাবনা থাকে ‘আমার মেয়ে যেন রেপ না হয়।’ আমার মনে হয় এবার ছেলের বাবা-মায়েদের ভাবা উচিত যে, 'আমার ছেলে যেন রেপ না করে', এই চিন্তা যতদিন না ছেলের বাবা-মায়েরা করছেন, তত দিন সমাজে কোনও বদল আসবে না। মেয়েদের সেফটিটা তো শেষ পর্যন্ত ছেলেদের উপরই নির্ভর করে। কারণ একটা মেয়ের সঙ্গে অঘটনটা ঘটায় ছেলেরাই। একটা মেয়ে তো আর একটা মেয়েকে রেপ করতে যায় না। তাই ছোট থেকে ভালো খারাপের শিক্ষাটা সন্তানকে দেওয়া উচিত, তাঁদের সঙ্গে বন্ধুর মতো মেশা দরকার।
আরও পড়ুন: মাতৃত্বকালীন জেল্লা চোখেমুখে! বেবিবাম্পে সামনে এলেন অনিন্দিতা, গর্ভাবস্থার কোন পর্যায়ে অভিনেত্রী?
৬) বেশ, কিন্তু মেয়ের সঙ্গে আপনার সমীকরণটা ঠিক কী রকম? তাঁর জীবনের বন্ধুত্ব, প্রেম এইসব নিয়ে কি খোলাখুলি আলোচনা হয়?
স্বস্তিকা: আমার মেয়ের সঙ্গে আমার সব কথা হয়। আমি একজন সিঙ্গেল প্যারেন্ট, তাই ছোটবেলা থেকেও ওর সঙ্গে বন্ধুর মতো করে মেশার চেষ্টা করেছি। ওকে সবসময় বলি যে, যেটা হবে সেটা বলবে, কখনও কিছু লুকিয়ে রাখবে না। সেখানে যদি তোমার দোষ থাকে, খারাপ কোনও কাজ করে ফেলেছ বলে মনে হয়, তাও আমাকে সবটা খুলে বলবে। তাই ওর জীবনের প্রেম-বন্ধুত্ব সবটা নিয়েই ও আমার কাছে অকপট।
৭) আর আপনার জীবনে প্রেম, সেটাকে এখন কীভাবে দেখেন?
স্বস্তিকা: আমি খুবই প্রেমিক মানুষ। তবে আমি বিশ্বাস করি যদি প্রেম আসার থাকে, তবে নিজে থেকেই আসবে। আমার খুব ভালো লাগে এই অনুভূতিটা। তবে এরকম কোনও ব্যাপার নেই যে ২০২৫-এ আমাকে একটা প্রেম করতেই হবে। যদি প্রেম আসে তবে ২০২৫ একাধিক প্রেমও করতে পারি। তবে এই মুহূর্তে আমার কাজের অনেকটা চাপ চলছে, সেখানেই বেশি ফোকাস করেছি। তাই আলাদা করে এটা নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামচ্ছি না।
৮) হ্যাঁ সেটা তো বোঝাই যাচ্ছে, সদ্য মুম্বই থেকে ফিরলেন… নতুন কী চমক অপেক্ষা করছে দর্শকদের জন্য?
স্বস্তিকা: যখন রিলিজ হবে তখনই বলতে পারব। আগে আগে বলে দিলে তো আর চমকটাই থাকবে না। তাছাড়া ছবি কাজও এখন প্রাথমিক পর্যায়ে আছে, শুটিং শুরু হবে।
৯) আচ্ছা এই ছবির অডিশন নিয়ে তো কিছুদিন আগে পোস্ট করেছিলেন…
স্বস্তিকা: না না সেটা অন্য একটা ছবির অডিশন ছিল। ওই ছবির কাজটা এই বছরের মাঝামাঝি শুরু হবে।
১০) আচ্ছা, আর আপনি এত জনপ্রিয়, বলিউডেও আপনার কাজ যথেষ্ঠ প্রশংসা পেয়েছে, তারপরও এই অডিশন দিয়ে কাজ পাওয়া, কী বলবেন বিষয়টা নিয়ে?
স্বস্তিকা: বম্বেতে এভাবেই কাজ হয়। নাম করে ফেলেছে বা অনেক বেশি কাজ করে ফেলেছে বলেই কেউ কাজ দিয়ে দেয় না। আসলে কলকাতার মানুষেরা অনেকেই মনে করেন অডিশন দিতে যাওয়ার ব্যাপারটা খুবই হিউমিলিয়েটিং। খুব বড় কেউ হয়ে গেছ, বা অনেক নাম হয়ে গেছে তাহলে কেন অডিশন দিতে যেতে হবে। কিন্তু ওখানে না ওই ব্যাপারটা নেই। ওঁরা অডিশন নিয়েই কাজ দিতে পছন্দ করেন। সে অচেনা হোক বা চেনা সবার জন্যই একই নিয়ম প্রযোজ্য। আর আমার ব্যক্তিগত ভাবে অডিশন দিতে যেতে কোনও অসুবিধা হয় না বরং নার্ভাস লাগে।
১১)আপনার নার্ভাস লাগে…!
স্বস্তিকা: হ্যাঁ, আমার কাছে এটা একটা ডু অর ডাই সিচুয়েশন। অল্প সময়ের মধ্যে তুমি যতটুকু জানো সবকিছু তোমাকে দেখিয়ে ফেলতে হবে। আর যেসব অডিশন দিয়েছি সব কটাতেই কাজ পেয়ে গিয়েছি তেমন টাও কিন্তু নয়। ২০২২ তখন ‘কালা’, ‘পাতাল লোক’ অলরেডি হয়ে গিয়েছে, সেই সময় আমি ১১ টা ছবির জন্য আমি অডিশন দিয়েছিলাম কিন্তু একটাতেও কাজ পাইনি।
১২) মুম্বইয়ে কাজ মানে অনেকেই মনে করে কেরিয়ারের উত্তরণ, আপনার কাছেও কি তাই?
স্বস্তিকা: আমি ব্যাপারটা ঠিক ওইভাবে দেখিনা। অভিনেত্রী হিসেবে আমি আমার কমফোর্টজোনের বাইরে গিয়ে কাজ করতে চাই। এখানে আমি যাঁদের সঙ্গে কাজ করি, তাঁরা আমি যেরকমই শর্টস দেই তাতেই খুশি হয়ে যান। আমি চাইতাম এমন একটা জায়গায় কাজ করব যেখানে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হবে। পরিচালকরা বলবেন এটা ভালো লাগছে না অন্যরকম ভাবে করুন। আমি যদি কলকাতার বাইরে বেরিয়ে কাজ না করা শুরু করতাম, তাহলে সারা জীবন বাঙালি চরিত্রই করতাম, কোনও অবাঙালী চরিত্র করা হত না। আর তাছাড়া ন্যাশনাল প্ল্যাটফর্মে কাজ করলে আরও অনেক বেশি মানুষ দেখতে পাবেন, বাংলায় কাজ করলে তো কেবল বাঙালিরাই দেখবেন। তাই শিল্পী হিসেবে অবশ্যই চাই যে আমার কাজ আরও অনেক বেশি মানুষ দেখুন।
১৩) টোটা রায় চৌধুরীও তো এখন মুম্বইয়ে অনেক কাজ করছেন, একসঙ্গে আপনাদের 'নিখোঁজ ২'-এ দেখা যাবে, ওঁর সঙ্গে এইসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে সেটে?
স্বস্তিকা: না, শুধু 'নিখোঁজ' নিয়েই আমাদের কথা হয়েছে। আসলে এই সিরিজে আমার চরিত্রটা খুব কঠিন। সব সময় মাথায় রাখতে হয়েছে যে 'বৃন্দা'র মধ্যে থাকা পুলিশের সত্ত্বা যেন ওর মাতৃত্বকে ছাপিয়ে না যায়, আবার ওর মাতৃত্ব যেন পুলিশ সত্তাকে ছাপিয়ে না যায়। এই দুটোর মধ্যে ভারসাম্য রাখাটা খুব প্রয়োজন ছিল, তাই নিজের কাজেই বেশি মনযোগ দিয়েছিলাম।
১৪) মা আর কাজ দুটোর কথাই যখন উঠল, একটা বিষয় জানতে ইচ্ছে হয়, আপনি আপনার ওই অডিশনের পোস্টে আপনার মা শাড়ি পরা শিখিয়েছিলেন বলে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন, এর পিছনের গল্পটা কী?
স্বস্তিকা: আমি মাকে বেশির সময় ভাগ শাড়িতেই দেখেছি, বাড়িতেও মা শাড়িই বেশি পরতেন। আমাদের যখন কোথাও যাওয়ার থাকত, মাকে বললে মা দু মিনিটের শাড়ি পরে খুব সুন্দর সেজেগুজে তৈরি হয়ে যেতেন। আমার মায়ের শাড়ি পরার একটা বিশেষত্বও ছিল। তিনি কখনও সেফটিপিন ব্যবহার করতেন না, কিন্তু তাতে ওঁর শাড়ির আঁচল একেবারে ঠিকঠাক থাকত। বেড়াতে গিয়েও শাড়ি পরেই মাকে পাহাড়ে উঠতে দেখেছি। আর এখন আমার ব্যাপারটাও মায়ের মতোই। শাড়ির কুচি ধরা বা আরও নানা কারণে শাড়ি পরানোর জন্য কাউকে একটা প্রয়োজন হয়, কিন্তু আমার এইসবের জন্য কাউকে লাগেনা, আমি একাই পুরোটা করে ফেলতে পারি। আর সেটা আমার কাজের ক্ষেত্রেও অনেক সাহায্য করে।
১৫) বেশ, আর এখন তো দক্ষিণী ছবির বেশ রমরমা, সেখানে কাজ করা নিয়ে কি কোনও পরিকল্পনা রয়েছে?
স্বস্তিকা: আমি পরিকল্পনা করে তো কিছু করতে পারবো না। প্রযোজক, পরিচালকরা যদি আমাকে নেবেন বলে মনে করেন তখনই সেই কাজগুলো আমার কাছে আসবে। আমি সব ভাষার কাজ করতে চাই। সেটা তামিল, তেলেগুও হতে পারে আবার পাঞ্জাবিও হতে পারে। ভালো কাজ পেলে আমি যে কোনও ভাষার কাজ করতে পারি সেটা কাশ্মীরি ছবি হলেও করতে পারি।
১৬) 'নিখোঁজ ২'-এ আপনার সঙ্গে রজতাভ দত্ত থাকছেন, আপনারা অনেক কাজ করলেও আপনাদের 'স্টোনম্যান' সিরিজটা কিন্তু অনেকের কাছেই খুব বিশেষ, সেটার দ্বিতীয় সিজন নিয়ে অনেকেই আগ্রহী, কী বলবেন আপনি?
স্বস্তিকা: এটা সত্যিই জানিনা। এটা একেবারেই হইচই বলতে পারবে। আমি নিজেই ভুলে গিয়েছি সিরিজটার ব্যাপারে।