আর জি কর কাণ্ড নিয়ে প্রথমদিন থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সোচ্চার স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। বিদেশে থাকায় শুরুর দিনগুলোতে পথে নেমে প্রতিবাদ জানাতে পারেননি। কিন্তু দেশে ফেরার পর থেকে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছেন স্বস্তিকা। মহামিছিলে পা মিলিয়েছেন, ধর্মতলার ধর্নামঞ্চে রাত জেগেছেন। তার পরেও ট্রোলিং পিছু ছাড়েনি তাঁর।
হালে নিজের পুজো রিলিজ টেক্কার পোস্টার শেয়ার করায় কটাক্ষের মুখে পড়েছেন অভিনেত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর উৎসবে ফেরার ডাকে সপাটে না বলায় শাসক দল সমর্থকরা জানতে চেয়েছেন, উৎসবে না, তাহলে সিনেমা দেখতে ডাকছেন কেন? ট্রোলারদের নিয়ে মাথাব্যাথা নেই তাঁর। বরং জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন তিনি।
আরজি কর-কাণ্ড স্বস্তিকার ঘুম উড়িয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালে নিজের কিছু সাদা-কালো ছবি ভাগ করে নেন স্বস্তিকা। স্লিভলেস ব্লাউজ আর সুতির শাড়িতে উষসীর ক্যামেরায় বন্দি স্বস্তিকার কিছু ক্যান্ডিড ছবি। ছবিতে স্বস্তিকার ‘থলথলে’ হাত কিংবা ‘ডবল চিন’ দেখা যাচ্ছে। তথাকথিত নায়িকাসুলভ ছবি বলা যায় না সেগুলিকে। তবুও সাহস দেখিয়ে নিজের সেই ছবিই ফেসবুকে দিলেন স্বস্তিকা। সঙ্গে লিখলেন, ‘লড়াই করেই বাঁচতে চাই। মানি-মাম্মা (মেয়ে অন্বেষা) দুঃখ করিস না, তুই সঙ্গেই আছিস । কয়েক মাস আগে হয়ত এই ছবিগুলো কোনদিন শেয়ার করতাম না, হাত মোটা লাগছে, ডবল চিন দেখা যাচ্ছে, এই সেই, এখন মনে হচ্ছে চুলোয়ে যাক, সর্বস্ব দিয়ে প্রতিবাদ টা হোক। বিচার আসুক। তারপর শরীরের দিকে মন দেব। হিরোইন সুলভ আচরণের সময় আবার পরে আসবে।’
স্বস্তিকার এই পোস্টেও টেক্কা বয়কট করার ডাক নিয়েছেন নেটিজেনদে একাংশ। নায়িকার পালটা জবাব, ‘ইচ্ছে না করলে যাবেন না। আমি দেখতে যেতে বলিনি। আমার ছবি রিলিজ করছে সেটা তো আমি জানাবই। অনেক সময় আছে ট্রোল করুন…অসুবিধা নেই’।
কিছুদিন আদে শ্যামবাজারে বামেদের প্রতিবাদ মিছিলের দিন পৌঁছেছিলেন স্বস্তিকা। সেই চত্বরে হাসিমুখে বেশ কয়েকজনের ছবি তোলায় শুনতে হয়েছিল কটাক্ষ। পালটা জবাবে নায়িকা বলেছিলেন, ‘আমি সন্দীপ ঘোষ নই। আমি রেপ করিনি। আমি খুনও করিনি। রাস্তায় নেমে ১৫ ঘণ্টা ধরে প্রতিবাদরত মহিলা বা পুরুষদের সারাক্ষণ মুখ গম্ভীর করে থাকতে হবে সেই নিয়মটা কে বানাল? আর কোনও নিয়ম মানব না। যেভাবে মনে হবে সেই ভাবে রাস্তায় নামব, দিনে, রাতে।’