গত সপ্তাহেই মুক্তি পেয়েছে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের ‘শ্রীমতী’। বেশ কিছু বছর পর বড় পরদায় ফিরেছেন অভিনেত্রী। তাই এই ছবি নিয়ে আলাদা উন্মাদনা ছিল দর্শকদের মধ্যে। কোনও কসুর রাখেননি স্বস্তিকা নিজেও। প্রায় প্রতিদিনই করেছেন হল ভিজিট। কথা বলেছেন, ছবি তুলেছেন নিজের ভক্তদের মধ্যে। তাই তো সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন চোখ রাখলেই দেখা যাবে ‘শ্রীমতী’র রমরমা।
তবে এরই মাঝে বিস্ফোরক স্বস্তিকা। বাংলা ছবির হল না পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি। আর সে দায় আর সবার মতো হল মালিকদের না নিয়ে, কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন ডিসট্রিবিউটরকে। আর সেই ডিসট্রিবিউটর আর কেউ নয়, এসভিএফ।
শুক্রবার রাতে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে স্বস্তিকা লিখলেন, ‘বাংলা ছবি দেখুন, বাংলা ছবি সাপোর্ট করুন কিন্তু কে কীভাবে করবে? ডিসট্রিবিউটার যে ছবি চালাতে চাইবে সেই ছবি চলবে, নতুন প্রোডিউসার হলে তাকে কোনরকম জায়গা দেওয়া হবে না, উঠতি ডিরেক্টর হলে তাকে পাত্তা দেওয়ার দরকার নেই। আর নারী কেন্দ্রীক ছবি হলে তো প্রথম থেকেই বাদ এর খাতায়। ভাল সেল হলেও, মানুষ উচ্ছসিত প্রশংসা করলেও, রিভিউ/ফিডব্যাক সব দারুণ হলেও তাতে কি? হল দেওয়া হবে না আর দেওয়া হলেও এমন শো টাইম দেওয়া হবে যাতে কেউ না যেতে পারে, সেল তলানি তে ঠ্যাকে এবং তৃতীয় সপ্তাহে ছবি উঠিয়ে দেওয়া যায়। শ্রীমতীর কপালেও এটাই হল।’
অভিনেত্রী আরও জানালেন, প্রথম সপ্তাহে ‘শ্রীমতী’-র ১৭টা হল ছিল। আর দ্বিতীয় সপ্তাহে সেটাই হয়ে গেল ৪টে। তাও সমস্ত শো দুপুরে। এসভিএফের নাম উল্লেখ করে স্বস্তিকা লিখলেন, ‘আমাদের ডিসট্রিবিউটর SVF। তাদের নিজেদের প্রযোজিত ছবি এল আজ, তাই সব ভাল শো তাদের, এটাই তো হয়ে এসেছে, এটাই হবে… পরের সপ্তাহে এমনিও উঠিয়ে দেবে। ব্যাস বাংলা ছবিকে এইভাবেই বাংলা ছবির ডিসট্রিবিউটররা সাপোর্ট করবে। শুধু মন দিয়ে অভিনয় করলে হবে? ছবি চলতে দেবে না, তাই নিয়ে ও যুদ্ধ করতে হবে। করেও কিছু হবে না… কাল PVR Diamond Plaza - বিকেল ৪.২০ শো তে ১০০ জনের ওপরে দশর্ক ছিলেন কিন্তু তাও আজকে থেকে একটাই শো দুপুরে। কোটি টাকা খরচ করে ছবি বানানো হয় কিন্তু তাকে দুটো সপ্তাহ সময় দেওয়া হবে না।’
প্রসঙ্গত, ১৫ জুলাই শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে এসভিএফের ‘কুলের আচার’ ছবিখানা। নাম না নিলেও এই ছবিকেই ইঙ্গিত করেছেন অভিনেত্রী। যাতে স্বামী আর স্ত্রীর ভূমিকায় রয়েছেন বিক্রম চট্টোপাধ্যায় ও মধুমিতা সরকার। আর শ্বশুর-শাশুড়ি ইন্দ্রাণী হালদার ও সুজন মুখোপাধ্যায়। বিয়ের পর এক মেয়ের পদবি পরিবর্তন করাতে না চাওয়াই এই ছবির গল্প।