মঙ্গলবার থেকে স্বাস্থ্যভবনের সামনে আন্দোলনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সুপ্রিম কোর্টের আদেশকে অগ্রাহ্য করেই, চলছে আন্দোবন। ৫ দফা দাবিতে অনড় তাঁরা। মঙ্গলবারই নবান্নে থেকে ডেকে ইমেল এসেছিল, তবে তাতে এখনও সাড়া দেননি আন্দোলকরীরা। মঙ্গলবার রাতভর বৃষ্টিতে ভিজেই আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। অনেক সাধারণ মানুষও যোগ দিয়েছেন তাঁদের সঙ্গে। ছিলেন, অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ও।
স্বস্তিকা রাতেই লাইভে এসেছিলেন। দেখা যাচ্ছিল, বৃষ্টিতে ভিজে গিয়েছে বেশিরভাগি। যদিও রাত থেকেই প্রচুর ত্রিপল জমা হয়েছিল। সেগুলো দিয়ে মাথা বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। আর ভিজে ভিজেই স্লোগান চলছে। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, সরকার বনাম ডাক্তারদের স্নায়ুর লড়াইয়ে এত সহজে থামবে না এই পক্ষ।
আরও পড়ুন: ‘সবাই বলে আমি লোভী… একপ্রকার ঠিকই বলে! আমি সত্যিই লোভী’, হঠাৎ কেন লিখলেন শ্রুতি
এদিকে, সাধারণ মানুষও মরিয়া হয়ে উঠেছে বিচার চেয়ে। এমনকী, তাঁরাও যে কোনোভাবে আন্দোলরত ডাক্তারদের পাশে থাকতে চেয়ে বদ্ধ পরিকর। চারদিকে পোস্টে ছয়ালাপ, কীভাবে পাশে থাকা যায়। বিক্ষোভে থাকার সঙ্গে সঙ্গেই, সাহায্য করা যায় এই মানুষগুলোর।
আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে ‘দেবরা পার্ট ১’ ট্রেলার! জুনিয়র এনটিআর-সইফ-জাহ্নবীর সিনেমার প্রথম ঝলকে হতাশ দর্শক
এদিকে তিস্তা সান্যাল নামে এক ডাক্তার ফেসবুকে পোস্ট করেছেন, যিনি এই মুহূর্তে রয়েছেন স্বাস্থ্য ভবনের সামনেই। তিনি লিখলেন, ‘সবাইকে অনেক ধন্যবাদ যাঁরা খাবার/জল দিয়েছেন। একটু আগেই বাড়ি থেকে ফ্লাস্ক করে এনে চা খাওয়ালেন একজন। আপনারা যেই স্নেহ এবং সংহতি থেকে আমাদের খাবার এনে দিচ্ছেন আমরা তাঁর সম্মান করি।’
সঙ্গে যোগ করেন, ‘প্রচুর জলের বোতল, বিস্কুট-কেক জমে গেছে। আপাতত জল/খাবার আনবেন না প্লিজ। নষ্ট হবে। প্রয়োজন হলে আমরা আবার জানাবো। বরং গার্বেজ ব্যাগ, কয়েকটা স্যানিটাইজার, পেপার সোপ, শুকনো কাপড় এবং ফোন চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা হলে ভালো হয়। সাহায্য পেলে বাধিত হবো। কিন্তু যেটা চাইব, সেটা হল উপস্থিতি। সকলে স্বাস্থ্যভবনের সামনে আসুন, স্লোগানে গলা মেলান।’
মানবতার এই মুখ দেখা গিয়েছিল নবান্ন অভিযানের সময়তেও। বাচ্চা থেকে বুড়ো, ধনী থেকে গরীব, সকলেই জল, হাত পাখা, খাবার, ত্রিপল নিয়ে এভাবেই এসেছিল এগিয়ে। বাঙালি প্রমাণ করেছিল, সাহসটা ছোঁয়াচে। সঙ্গে মান