বাবাবিতর্কের রেশ যেন কাটারই নাম নিচ্ছে না। টানা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। রেড রোডে দুর্গাপুজোর কার্নিভালে অংশ নিয়েছিলেন স্বস্তিকা। একটি ক্লাবের হয়ে তিনি সেখানে অংশ নিলেও, দেখা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়, নমস্কার হয় দুজনের। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টও করেছিলেন অভিনেত্রী। যার পর থেকেই টানা কটাক্ষ চলছে তাঁকে নিয়ে।
স্বস্তিকাকে নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলেছেন। এমনকী বাম মনস্ক শ্রীলেখা মিত্র তো কটাক্ষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করে ফেলেছেন। ইতিমধ্যেই আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজের বক্তব্য রেখেছেন ‘শ্রীমতী’ অভিনেত্রী। কিন্তু তাতেও যেন ট্রোলিং কমার নাম নিচ্ছে না। তবে বাবা তুলে কটাক্ষ আসতেই সরব হলেন। একেবারে নিজস্ব ভাষায় চাঁচাছোলা ভঙ্গিতে দিলেন জবাব।
দেবনাথ বসু নামে এক নেট-নাগরিক টুইট করেন, ‘ চুপ থাকায় আশ্চর্য! ওর বাবা নিশ্চয়ই খুব রেগে আছে (যদিও ইংরেজি ইডিয়ম Turned On His Grave ব্যবহার করেছেন। যার অর্থ কোনও প্রয়াত মানুষ রেগে গিয়েছেন বা বিরক্ত হয়েছেন বোঝানো হয়।)। পারফর্মিং আর্টিস্ট বা অভিনেতাদের যদি বিকল্প পেশা না থাকে তাহলে তাঁদের হাওয়াই চটি চাটতেই হয় পশ্চিমবঙ্গে। বেচারা।’
আর এর জবাবে স্বস্তিকা লিখলেন, ‘আমি মুসলিম নই, জন্মগতভাবে হিন্দু। আমার বাবাও তাই ছিলেন। আমাদের শরীর পোড়ানো হয় আর ছাই নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। তাই যেমন কোনও কবর নেই, তাই টর্ন করার প্রশ্নই নেই। আমার বাবার খুব গর্ব হত যে আমি শালীনতা, মর্যাদা, সম্মান বজায় রেখেছি। উনি আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী, আমার টুইটার বন্ধু নয়।’
রবিবার রাতেও এই নিয়ে পোস্ট করেছেন স্বস্তিকা। যাতে লিখেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হওয়ায় তাঁকে নমস্কার করে বিজয়া জানানোটা ভদ্রতা, সৌজন্য। আমায় দুটো চকলেট দেওয়াটা ওনার ইচ্ছে, সেটা খেয়ে নেওয়াটা আমার… চকলেট নিয়েছি ইলেকশন টিকিট নয়, চকলেট খেয়েছি মোটা টাকার ঘুষ নয়। আমরা একটা সভ্য দেশে বাস করি, বর্বর নই। কাল দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হলেও একই ভাবে নমস্কার করব কারণ সেটাই ঠিক।’