ফিল্টারহীন মানুষ স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। ট্রোলারদের মুখ বন্ধ করে দেন নিমেষে। এবারে যেমন নিজের কিছু সেলফি পোস্ট করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। আর সেখানেই দেখা গেল, কিছু মানুষ এসে অভিনেত্রীর বয়স নিয়ে কটাক্ষ করা শুরু করে দিয়েছেন। অবশ্য দেখেও এরিয়ে যাওয়ার পাত্রী যে তিনি নন, প্রমাণ হল আরও একবার।
স্বস্তিকার পোস্টে এক ব্যক্তি মন্তব্য করেন, ‘বয়সের ছাপ পড়ার পরেও যে কাওকে এত সুন্দর লাগতে পারে, তার প্রমাণ আপনি’। এতে স্বস্তিকা জবাব দেন, ‘বার্ধক্য খুব স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। খোলামনে এটিকে গ্রহণ করা উচিত। এর সঙ্গে লড়াই করে কোনো লাভ নেই।’
আরেকজন আবার লিখলেন, ‘তুমি বুড়ি হওয়ার দিকে…’! এবার বেশ বিরক্ত হয়ে স্বস্তিকা লিখলেন, ‘আপনি কোন দিকে? আবার জন্ম নেবেন নাকি? বলদের মতো কথাবার্তা না বললেই হয় না!’
একজন আবার লেখেন, ‘ছোট থেকে আপনার সিনেমা বেশ কয়েকটি দেখেছি তবে ভালো লাগে জিৎ গাঙ্গুলী সাথে (অভিনেতা জিৎ মদানানি-র কথা বলতে চেয়েছিলেন)’! এতে পালটা কটাক্ষ করে স্বস্তিকা লিখলেন, ‘জিৎ গাঙ্গুলি আবার কবে থেকে সিনেমা করে?’

আরেকটি কমেন্টে আবার লেখা হয়েছিল, ‘আপনার বয়স তো বেশি না শুনেছি। এত তাড়াতাড়ি বুড়িয়ে যাচ্ছেন কেনো?’ তাতে স্বস্তিকার জবাব, ‘আমার ইচ্ছে। বুড়ী হতে চাই!’ আরও বেশ কিছু পোস্টে এভাবেই মন্তব্য করেছেন অভিনেত্রী। হামেশাই দেখা যায়, কমেন্ট সেকশনে গিয়ে গল্পে মজেন। এমনকী, তাঁর পরে থাকা জামা-জুতো-কানের দুল-গলার হার কোথা থেকে কেনা হয়েছে, সেসবেরও হদিশ দিয়ে দেন জানতে চাইলেই। আর এভাবেই হয়তো, খারাপ-ভালো মিশিয়ে নেটপাড়ার মনের মানুষ হয়ে ওঠেন। হয়ে যান ঘরের মেয়ে।
সত্যিই কিন্তু খুব বেশি বয়স হয়নি স্বস্তিকার। জন্ম ১৯৮০ সালের ১৩ ডিসেম্বর। অর্থাৎ ৪৪-এর ঘরে। মাত্র ২৩ বছর বয়সে অভিনয় জীবন শুরু করেন, ২০০৩ সালে তাঁর প্রথম ক্যামেরার সামনে কাজ দেবদাসী টিভি সিরিয়ালে। হেমন্তের পাখি তাঁর প্রথম সিনেমা, যদিও সেখানে ছিল ছোট্ট একটা চরিত্র। আর নায়িকা হিসেবে আবির্ভাব রবি কিনাগির পরিচালনায় জিতর সঙ্গে জুটি বেঁধে মস্তানে (২০০৩)।
স্বস্তিকার বয়স যখন মাত্র ২০, সেই সময়ই জন্ম তাঁর একমাত্র কন্যা অন্বেষার। বলা ভালো, মা-মেয়ে একসঙ্গেই বড় হয়েছেন। তাই আর যাই হোক, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কে অন্তত ‘বুড়ি’ কটাক্ষ করা চলে না!