বুধবার পথে নেমে রাত জাগার দাবিতে সরব হয়েছেন বাংলার মেয়েরা। যাতে কিছু পুরুষও সামিল হওয়ার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন। স্বাধীনতা দিবসের আগের রাত ঐতিহাসিক এক মুহূর্ত হতে চলেছে। কারণ বাঙালির রক্তে আগুন ধরিয়েছে আরজি কর মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে এক মহিলা ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা।
রাত ১১টার পর থেকে বাংলার নানা জায়গায় জমায়েত হতে চলেছে। এতে উত্তর থেকে দক্ষিণ, মফঃস্বলের নানা জায়গা রয়েছে। তবে অনেকেই আছেন, যারা নানা অসুবিধের কারণে আসতে পারবেন না শত ইচ্ছে সত্ত্বেও। কী করবেন তাঁরা, কীভাবে জানাবেন প্রতিবাদ?
অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। যেখানে লেখা রাত ১১.৫৫ মিনিটে মহিলারা শঙ্খ বাজান নিজের নিজের বাড়িতেই। আর এই পোস্ট শেয়ার করে অভিনেত্রী লিখলেন, ‘যারা আসতে পারবে না, এভাবে সঙ্গে থাকুন’।
বরাবরই স্পষ্টবক্তা তিনি। প্রথম থেকেই এই মেয়েটির এমন ভয়ানক মৃত্যু ও ধর্ষণ নিয়ে নিজের আওয়াজ উঠিয়েছেন। এর আগে লিখেছিলেন, ‘ভাষা নেই নিন্দের। এই দোষীদের অন্তত সাজা হোক। এইবার আর মেয়েটার দোষ, সে ভুলভাবে ভুল সময়ে ভুল জায়গায় ছিল বলে তার দিকে আঙুল তুলব না। একটা হাসপাতালেও মেয়েরা নিরাপদ নয় ? যাব কোথায়?’
তিনি নিজেও আজ রাতে পথে নামবেন। সামিল হবেন প্রতিবাদের মুখ হিসেবে। যদিও কোথায় তিনি থাকছেন, তা স্পষ্ট করেননি এখনও।
আরও পড়ুন: শুরু ২৫ লাখ দিয়ে, এখন কোটিতে! কেবিসি ১৬-র প্রতি এপিসোডের জন্য কত পারিশ্রমিক নেন অমিতাভ বচ্চন
মঙ্গলবার স্বস্তিকা লেখেন, ‘মেয়েদের শাড়ী, শাড়ীর আঁচল, ব্লাউজের মাপ, কতটা বুক দেখা যাওয়া ঠিক, কোনটা বেঠিক, কোনটা শালিন, কোনটা নয়~ এই নিয়ে শুনেই চলেছি। মেয়েদের দিকে আঙুল তোলা টা কে আমরা normalise করে ফেলেছি। আমরাই করেছি। আমি প্রতিবাদ করতে গেলে দেখেছি গালাগাল শুধু পুরুষরা নন মহিলা রাও দিয়েছেন। নিরাপত্তা আদায় করে নেওয়া টা আমাদের কাজ নয়। দাবী নয়। এটা আমাদের প্রাপ্য। পুরুষ দের কি নিরাপত্তা চাইতে হয় ? তাহলে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত আমাদের চাইতে হবে কেন? মেয়েদের সম্মানের মাপকাঠি শাড়ীর আঁচল দিয়ে হবে না। যা যা জিনিস আমরা normalise করেছি সেই সব মানসিকতা বর্জন করে চলে আসুন। চিৎকার করুন। প্রতিবাদ করুন। আজ আপনি, আমি ভাল আছি। কাল আমাদের ও কোমর ভেঙে কেউ ঝুলিয়ে রেখে রেপ কে suicide বলে চালিয়ে দিতে পারে। সেটা আর হতে দেওয়া যাবে না।’