পরিণতি পেয়েছে প্রেম। সদ্য সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন টলিপাড়ার অন্যতম চর্চিত জুটি রুবেল দাস ও শ্বেতা ভট্টাচার্য। রুবেল-শ্বেতা এখন আর প্রেমিক প্রেমিকা নন, স্বামী-স্ত্রী। এই লাভ-বার্ডের বিয়ে নিয়ে বেশ খুশি তাঁদের অনুরাগীরা। তবে শ্রেতা-রুবেলের বিয়েতে সংবাদমাধ্যমে প্রবেশে ‘না’ ছিল। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে বিয়ে ও রিসেপশনের নানান মুহূর্ত ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
গত ১৯ জানুয়ারি অর্থাৎ রবিবার সাতপাকে বাঁধা পড়েন শ্বেতা-রুবেল। এরপর ২০ জানুয়ারি সোমবার স্বামীর হাত ধরে শ্বশুরবাড়িতে যান নববধূ শ্বেতা। সেই বারাসতের বাড়িতে শ্বেতাকে বরণ করে ঘরে তোলার মুহূর্ত আগেই উঠে এসেছিল সোশ্য়াল মিডিয়ায়। আর এবার সামনে এল বরণের পর শ্বেতার শ্বশুরবাড়ির ঢোকার পরের অংশ। যেখানে দেখা যাচ্ছে শাশুড়ি মায়ের কোলে বসেছেন রুবেলের নতুন বউ। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কেউ একজন প্লেটে করে নতুন বউকে মিষ্টি সহ বেশকিছু জিনিস খেতে দিয়েছেন। শ্বেতা সেখান থেকেই একটু খাবার নিয়ে শাশুড়িমাকে খাইয়ে দিতে গেলেন। রুবেলে মা অবশ্য শ্বেতার হাত থেকে একটু খাবার নিয়ে নিজেই সেটা মুখে দিলেন। পাশে বসে রুবেলের তখন নিরব দর্শক হওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। wedding_birdlens_photography-এর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে উঠে এসেছে সেই মুহূর্তটি।
এর আগে শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার আগে শ্বেতাকে আর পাঁচজন নববধূর মতোই নিজের বাড়ির ছেড়ে যাওয়ার দুঃখে কাঁদতে দেখা যায়। বিদায়বেলায় শ্বেতার মিষ্টিমুখেও স্পষ্ট ছিল ক্লান্তির ছাপ।
শ্বেতা তাঁর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। খুব স্বাভাবিক ভাবেই মেয়েকে বিদায় জানাতে গিয়ে কেঁদেকেটে অসুস্থ হয়ে পড়েন শ্বেতার মা। এবিষয়টি অভিনেত্রীর খুরতুতো দিদি তনুশ্রী নিজেই এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন। তবে মেয়ে ভালো আছে জেনে এখন তিনি অনেকটাই স্বস্তিতে।
প্রসঙ্গত বিয়ের দিন শ্বেতা সেজেছিল চিরাচরিত বাঙালি বধূর সাজে। তাঁর পরনে ছিল লাল বেনারি, সঙ্গে সোনার গয়না। বৈদিক মতে বিয়ে সারেন তাঁরা। দমদমের একটা হলে আয়োজিত হয়েছিল তাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠান। সেখানে সেদিন উপস্থিত ছিলেন ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’-র গোটা টিম। এই মুহূর্তে সেই ধারাবাহিকেই শ্যামলীর চরিত্রে অভিনয় করছেন শ্বেতা। অন্যদিকে তাঁদের রিসেপশনের আয়োজন হয়েছিল বারাসতে। যেহেতু রুবেল বারাসতের ছেলে, তাই সেখানেই হয় অনুষ্ঠান। সেদিন সেখানে দেখা যায়, ‘নিম ফুলের মধু’র গোটা টিমকে। রিসেপশনে প্যাস্টেল শেডের লেহেঙ্গা পরেছিলেন শ্বেতা। আর রুবেল পরেছিলেন একই রঙের শেরওয়ানি।