মঙ্গলবার বারাসতে বসেছিল শ্বেতা ভট্টাচার্য ও রুবেল দাসের ঝাঁ চকচকে রিসেপশন। বারাসতের ছেলে রুবেল, তাই সেখানেই করা হয়েছিল আয়োজন। আইবুড়ো ভাত থেকে মেহেন্দি, এমনকী ভাত-কাপড়ের অনুষ্ঠানেও শাড়িই পরেছিলেন অভিনেত্রী। তবে রিসেপশনে বেছে নিলেন লেহেঙ্গা। প্যাস্টেল ব্লু রঙের লেহেঙ্গায় সাজিয়েছিলেন অভিনেত্রী নিজেকে। সঙ্গে হিরের গয়না। সিঁথি ভরা সিঁদুর। হাতে শাখা-পলা। আর রুবেলকে পাওয়া গেল বন্ধগলা শেরওয়ানিতে। সঙ্গে ছিল মুক্তোর লম্বা হার। ব-কনের সাজ ইতিমধ্যেই মুগ্ধ করেছে সকলকে।
এরই মধ্যে ভাইরাল একটি ভিডিয়ো। যেখানে দেখা গেল নিজের বউভাতে পারফর্ম করছেন শ্বেতা। মেরা সাইয়াঁ সুপারস্টার গানে জমিয়ে নাচলেন অভিনেত্রী। মঞ্চের একপাশে দাঁড়িয়ে রুবেলের মুখ তো রীতিমতো হাঁ বউয়ের থেকে এমন উপহার মেলায়। একেক লাইনে তাঁকেও পা মেলাতে দেখা গেল। উপস্থিত সকলে যে দারুণ উপভোগ করছেন শ্বেতার পারফরমেন্স তা চিৎকার-হাততালি থেকেই স্পষ্ট।
দেখুন নাচের সেই ভিডিয়ো-
তবে শুধু শ্বেতা নন, রুবেলও নাচলেন নিজের নতুন বউয়ের জন্য। কাপল পারফরমেন্স দেন তাঁরা বলিউডের রোম্যান্টিক নম্বর ‘রাতা লম্বিয়া লম্বিয়া রে’-তে।
দেখুন সেই ভিডিয়োটি-
রবিবারই পূর্ণতা পেয়েছে রুবেল ও শ্বেতার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। যা শুরু হয়েছিল যমুনা ঢাকির সময়তে। বৈদিক মতে সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন দুজনে। সিঁদুর দাবনের সময়ে অঝোরে কাঁদতে দেখা যায় শ্বেতাকে।
এর আগে রুবেলের সঙ্গে সংসার করা নিয়ে শ্বেতাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘আমরা কখনও বিয়ের আগে একসঙ্গে থাকি নি। তাই আমার কাছে এটা স্পেশ্যাল ব্যাপার যে বিয়ের পর এবার আমরা একসঙ্গে এক ছাদের নীচে থাকব।'
বেল এখন শ্বেতার জীবনজুড়ে। কিন্তু একটা সময় অন্য পুরুষের সঙ্গে ৯ বছরের সম্পর্কে ছিলেন অভিনেত্রী। তবে তাঁর বিশ্বাস ভাঙে প্রেমিক। তারপরই ভালোবেসে আগলে নিয়েছিলেন রুবেল।
মা-বাবার আদরের মণি শ্বেতা। একমাত্র মেয়ে তিনি। রুবেলের যদিও দাদা রয়েছে। তবে বাবা মারা যাওয়ার পর, মা-ই দুই ছেলেকে একা হাতে বড় করেছেন। দুজনেই পরিবার অন্ত প্রাণ। আর এই সাদামাটা স্বভাবই আরও যেন আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রেখেছে দুজনকে। রুবেলের মতে, ‘আমাদের প্রেমে কোনও ন্যাকামো নেই। মানে কোনও প্রেমই ন্যাকা নয়। মানে ওই ঘ্যানঘ্যান ব্যাপারটা শ্বেতার মধ্যে সত্যি নেই। তাই কোনও অভিযোগ নেই। ওর সবটা ভালো। ও খুব সাধারণ মনের একটা মেয়ে। কোনও চাহিদা নেই।’
আর রুবেলকে নিয়ে ভালোবাসায় গদগদ শ্বেতার বরাবরের বক্তব্য, ‘ও সব সময় আমার ছোট-ছোট আবেগের খেয়াল রাখে। আর রুবেলের এই বিষয়গুলো আমাকে খুব আনন্দ দেয়।’