রবিবার, বৈদিক মতে সাত পাক ঘুরে বিয়ে সরেছেন শ্বেতা-রুবেল। বিয়ের পর রুবেলের হাত ধরে সোমবারই শ্বশুরবাড়িতে পা রেখেছেন শ্বেতা। মঙ্গলে রুবেলের বারাসাতের বাড়িতে হয়ে গেল শ্বেতার ভাত কাপড়ের অনুষ্ঠান। বউভাতের দুপুরে শ্বেতার মায়াবী সাজ দেখে মুগ্ধ ভক্তরা।
বিয়ের দিন সকালে প্রতিটি মুহূর্ত থেকে বিয়ের আসরে রুবেল-শ্বেতার নাচের রঙিন মুহূর্ত দাবানলের গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এদিন সকাল থেকেই শ্বেতার বউভাতের দুপুরের সাজ দেখবার অপেক্ষায় ছিল ফ্যানেরা। জরির কাজ করা নীল রঙা সিল্কের শাড়িতে সেজেছেন শ্বেতা। সঙ্গে সোনার নেকলেস, রানি হার, ঝোলা দুল। রুবেলের নামের সিঁদুরে ঝলমল করছেন নায়িকা। তাঁদের মুখের মিষ্টি হাসিতেই ফিদা সক্কলে।
লাল সুতোর কাজ করা ঘিয়ে রঙা পাঞ্জাবি আর খয়েরি রঙা ধুতিতে দেখা মিলল শ্বেতার বরের। নতুন জীবন শুরুর আনন্দ দুজনের চোখে-মুখে। নতুন বউয়ের ভাত-কাপড়ের দায়িত্ব নিলেন রুবেল। পঞ্চব্যঞ্জনে পাত পেরে খাবার খেলেন নববধূ। পরিবারের সকলের সঙ্গে ছবিও তুললেন দুজনে। সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই এল সামনে।
দুপুরে ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ই হল বউ ভাতের অনুষ্ঠান। নবদম্পতির একাধিক রঙিন মুহূর্ত ধরা পড়েছে ক্যামেরায় ভাত-কাপড়ের দায়িত্ব নেওয়ার সময় রুবেলকে বলতে শোনা গেল, ‘আজ থেকে তোমার শাঁখা-সিঁদুর, আলতা, যত কসমেটিক্স…. ’। বরকে থামিয়ে শ্বেতা বললেন, ‘গয়নাটা বলো…’। রুবেল বাধ্য বরের মতো বলে চলেন, ‘গয়না, গয়নার জিএসটি, শাড়ি সবের দায়িত্ব নিলাম আজ থেকে’। রুবেলের বাড়ির বড়রা ছেলেকে বলেন, ‘বল আজ থেকে ঝগড়া করব না’। সে কথা মানতে না-রাজ রুবেল, ‘ঝগড়া তো করব তবে মিটিয়ে নেব’।
নিয়মমতো ভাতকাপড়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর বরের পা ছুঁয়ে প্রণাম করতে যান শ্বেতা। বউয়ের হাত ধরে বাধা দেন রুবেল। এবং নিজেও হাঁটু মুড়ে মাটিতে বসে পড়েন। এবং দু-হাত জোড় করে প্রণাম করেন শ্বেতাকে। এই মিষ্টি মুহূর্তের ঝলক ভাইরাল সোশ্যালে। প্রেমের সাগরের ভাসমান নবদম্পতির ছবি এই মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন।
শ্বেতা-রুবেলের বিয়েতে কোন গোপনে মন ভেসেছে টিমের হুল্লোড় ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু দেখা মেলেনি নিম ফুলের মধু পরিবারের সদস্যদের। সৃজনের বাস্তবের বিয়েতে পর্ণা অর্থাৎ পল্লবী না থাকায় হতাশ অনেকেই। তবে রিসপেশনের আসলে পৌঁছাবে নিম ফুলের মধুর পরিবার। আপতত অপেক্ষা এদিন সন্ধ্যের।