‘বাস্তব আলাদা’, প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন ছিল ‘তারে জমিন পর’-এর দর্শিলের!

আমিরের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ রয়েছে দর্শিল সাফারির। পেশাগত জীবন সম্পর্কে অভিনেতার থেকে পরামর্শ নেন তিনি।

‘তারে জামিন পার’-এর ইশানকে মনে আছে! 

‘তারে জমিন পর’-এর ছোট্ট ইশান আওয়াস্তিকে মনে আছে? ১৫ বছর আগে বলিউডে শিশুশিল্পী হিসেবে ডেবিউ করেছিলেন অভিনেতা দর্শিল সাফারি। ২০০৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবি জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল তাঁর। ছবিতে অভিনেতা আমির খান ছিলেন দর্শিলের শিক্ষক। 

গত মাসে ২৫ বছরে পা দিয়েছেন দর্শিল। পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের অভিনয় চালিয়ে গিয়েছে সে। সিনেমা, বিজ্ঞাপন ও বিভিন্ন ব্যান্ডের স্পনসর হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। দর্শিলের ডেবিউ সিনেমা ‘তারে জামিন পার’ বক্স অফিসে সুপার হিট ছিল। এরপর সিনেমা, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও সিরিজে কাজ করলেও সেভাবে আলোচনায় আসতে পারেননি অভিনেতা। 'ঝলক দিখলা যা' সিজন ৫- রিয়ালিটি শো-এর প্রতিযোগীও ছিলেন।

ইটাইমসকে দেওয়া সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দর্শিল জানিয়েছেন, ‘২৫ বছর বয়সে নিজেকে একটা নির্দিষ্ট জায়গায় দেখতে চেয়েছিলাম আমি। কিন্তু বাস্তবটা আলাদা। ভেবেছিলাম ২৫ বছর বয়সে অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হব। ভেবেছিলাম জীবন আরও সহজ হবে। সাজানো হবে। অবশ্যই, আমি কখনই ভাবিনি যে আমরা একটি মহামারীর (হাসি) মধ্যে দিয়ে যাব। গত বছরটা আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল। আমি কিন্তু মিষ্টি উপায়ে সামাল দিচ্ছি।’

অভিনেতার কথায়, ‘আমার বাবা-মা এবং বন্ধুরা আমাকে ধৈর্য রাখতে বলেছিল। আমার জুতোয় পা গলায়নি কেউ। তাই আমার সমস্যাটা কেউ বুঝতে পারছে না। গতি থেমে গিয়েছিল, যা একজন অভিনেতার জন্য সবচেয়ে খারাপ; পুরো তছনছ হয়ে গিয়েছিল। আমি ভাবছিলাম এই সময়টা কিভাবে ফিরে পাবো।’

একই সাক্ষাৎকারে দর্শিল জানিয়েছেন, তাঁর বাবা নিয়মিত আমির খানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অভিনেতা উল্লেখ করেছেন, পেশাগত জীবন সম্পর্কে পরামর্শ দেন তাঁকে ‘নিকুম্ভ স্যার’। 

দর্শিলকে শেষবার ‘পেয়ার নালে’ মিউজিক ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছিল। ২০২০ সালে মুক্তি পেয়েছিল সেই ভিডিয়ো। হিন্দুস্তান টাইমসের সঙ্গে দিন কয়েক আগের সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানিয়েছেন, দুটি প্রকল্পের জন্য শ্যুট করেছেন তিনি।