শুক্রবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেত্রী ও সঞ্চালক তাবাসুম। মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন প্রবীন অভিনেত্রীর পুত্র হোসাং গোভিল। বয়স হয়েছিল ৭৮। তাঁর ভালো নাম ছিল কিরণবালা সচদেব। মাত্র তিন বছর বয়সেই রুপোলি পর্দায় অভিনয় শুরু করেন। তখনই নাম রাখা হয় ‘বেবি তাবাসুম’।
শিশুশিল্পী হিসেবে বলিউডে অভিনয় কেরিয়ার শুরু করেন তাবাসুম। ‘দিদার’ ছবিতে নার্গিসের অল্প বয়সের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ১৯৫২ সালে ‘বাইজু বাওরা’ ছবিতে মীনা কুমারীর কম বয়সের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। এরপর সত্তরের দশক থেকে পরিণত বয়সের চরিত্রে অভিনয়ে পদার্পণ।
সিনেমার পাশাপাশি রেডিও ও পরবর্তী সময়ে দূরদর্শনের বিভিন্ন শোয়ে সঞ্চালক হিসেবেও জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তাবাসুম। বড়পর্দার তুলনায় টেলিভিশনে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ধুমধাম করে আরাধ্যার জন্মদিন পালন করলেন ঐশ্বর্য-অভিষেক, হাজির কারা কারা, দেখুন
ভারতের প্রথম টেলিভিশন টক শো ছিল ‘ফুল খিলে হ্যায় গুলশান গুলশান’। ১৯৭২ সালে ডিডি-তে সম্প্রচার শুরু হয়েছিল। টানা ২১ বছর ধরে চলেছিল এই টক শো। ১৯৯৩ সালে শেষ হয়েছিল। বছরের পর বছর ধরে, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বেশিরভাগ বড় তারকারা এই শোয়ে বিশেষ অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছেন। শোয়ে তারকাদের সঙ্গে জীবন এবং কেরিয়ার নিয়ে আড্ডায় মেতে উঠতেন তাবাসুম।
২০১৬ সালে হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাবাসুম জানিয়েছিলেন, ‘প্রথম দিকে কিছু শিল্পী শোতে আসার ব্যাপারে দোনোমনো করতেন। যখন যখন এই শো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল সবচেয়ে বড় নামগুলিও একটি স্লটের জন্য দূরদর্শনের অফিসের বাইরে লাইন দিত। আজকের দুনিয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ার মতোই ওই শো-এর জন্য উন্মাদন ছিল।’
অনুষ্ঠানের ফর্ম্যাট সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে তাবাসুম বলেছিলেন, ‘আমরা সিঙ্গেল টেকে ৩০ মিনিট পর্যন্ত টানতাম। কাটের ব্যাপারে কোনও ধারণা ছিল না আমাদের। এমনকি আমাদের কোনও প্রকৃত প্রযোজনা টিমও ছিল না। ফুল খিলে... ছিল এক নারীর শো। আমি শিল্পীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতাম, স্ক্রিপ্ট লিখতাম, নিজে গবেষণা করতাম।’ সম্প্রতি ইউটিউবেও ‘তাবাসুম টকিজ’ নামের একটি শো চালাতেন তাবাসুম।