দিল্লির নিজামুদ্দিনের জমায়েতের ঘটনা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তাল দেশ। করোনা পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করতে যখন হিমসিম খাচ্ছে প্রসাশন, তখন একটি ধর্মীয় সংগঠনের এহেন দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণে ক্ষুদ্ধ দেশবাসী। করোনা সংক্রমণে লাগাম দিতে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া তবলিঘি জামাত কর্মীদের খুঁজে বের করতে কালঘাম ছুটেছে পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীদের। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে দেশের ৩০ শতাংশ করোনা আক্রান্তই দিল্লির নিজামুদ্দিনে তবলিঘি জামাতের জমায়েতে যোগ দিয়েছিলেন। ১৭ টি রাজ্যে মোট ১,০২৩ জন জামাত জমায়েত থেকে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন।
গোটা ঘটনায় একদিকে বিস্মৃত অন্যদিকে ক্ষুদ্ধ অভিনেত্রী,সমাজকর্মী অপর্ণা সেন। টুইটারের দেওয়ালে গোটা বিষয় নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অপর্ণা সেন। তিনি নিজামুদ্দিন জামাতের এই জমায়েতকে ক্রিমিন্যাল অ্যাক্ট বলে উল্লেখ করেন, লেখেন-' জামাতের জমায়েত ভীষণরকমভাবে ভয়ঙ্কর এবং অপরাধমূলক কাজ এবং যাঁরা এর জন্য দায়ী তাঁরা যেন শাস্তি থেকে বঞ্চিত না থাকে! হ্যাঁ আমি ধর্মনিরক্ষেপ এবং স্বাধীনচেতা, কিন্তু আমি এমন কোনও কাজ সমর্থন করতে পারি না যা আমার দেশের আইনের বিরুদ্ধে। সেটা যে কেউ করুক না কেন- সে হিন্দু, মুসলমান, খ্রীস্টান, জিউ, শিখ, নাস্তিক বা জ্ঞানবাদী যে হোন না কেন!'
এর আগে লকডাউন পরিস্থিতি নিয়ে একটি বিতর্কিত টুইট করেছিলেন অপর্ণা সেন। যেখানে অভিনেত্রী লেখেন, 'হে মোর হতভাগা দেশ! করোনার চেয়ে বেশি মানুষ না খেতে পেয়ে মারা যাবে!'
প্রসঙ্গত, দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকায় তবলিঘি জামাত কর্মীদের জন্য নির্দিষ্ট আশ্রয় ছয় তলা মরকজ ভবন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ধর্মীয় প্রচারের উদ্দেশে এখানেই এসে প্রথমে উঠেছিলেন বিদেশ থেকে আগত ৯৬০ জন কর্মী। মার্চের শুরু থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত এখানেই ছিল জমায়েত। তাঁদের মধ্যে অনেকেই এসেছিলেন ইরান ও কাজাখস্তানের মতো করোনা আক্রান্ত দেশ থেকে। এই মরকজ থেকেই পরে ধর্ম প্রচারের উদ্দেশে সারা ভারতে ছড়িয়ে পড়েন জামাত কর্মীরা। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে ২২,০০০ জামাত সদস্য ও তাঁদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে ইতিমধ্যেই কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।