স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র রচনা এবং পরিচালনায় সফলতার পর তাহিরা কাশ্যপ এবার 'শর্মাজি কি বেটি' ফিচার ফিল্মের পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন। সাক্ষী তানওয়ার, দিব্যা দত্ত এবং সাইয়ামি খের অভিনীত এই ছবিটি বিভিন্ন বয়সের গোষ্ঠী এবং পটভূমি থেকে আসা তিন মহিলার জীবনের গল্প বলবে। কীভাবে একটি ব্যস্ত মহানগরে তাঁদের জীবন আবর্তিত হচ্ছে। তাঁরা নানা সমস্যায় পড়ে কীভাবে তার সমাধান বের করছেন সেই গল্পই ফুটে উঠবে সিনেমার পর্দায়।
আর এই ছবি মুক্তির প্রস্তুতি মাঝেই, সম্প্রতি তাহিরা মহিলাদের যে প্রায়শই নানা সামাজিক চাপের সম্মুখীন হতে হয় সেই বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি বিশেষ করে 'মায়ের অপরাধবোধ'-এর কথা বলেন। তাঁর মতে মেয়েরা যখন নিজের ক্যারিয়ারকে অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে পারিবারিক দায়িত্বকে কিছুটা কম গুরুত্ব দেয় তখন তাঁদের মনের মধ্যে উথাল-পাথাল শুরু হয়। তাঁরা নিজেরাই নিজেদের মধ্যে নানা সমস্যা তৈরি করে। পাশাপাশি সমাজও তাঁদের দিকে নানা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়। এ প্রসঙ্গে তিনি তাঁর নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। প্রশ্ন তুলেছেন কেন তাঁর স্বামী আয়ুষ্মান খুরানাকে পুরুষদের কাজ এবং পরিবারের ভারসাম্য সম্পর্কে খুব কমই জিজ্ঞাসা করা হয়।
আরও পড়ুন: ‘এটা খুব মিষ্টি…’ এপি ধিলোনের সঙ্গে প্রেম করার প্রসঙ্গে মুখ খুললেন বনিতা
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে তাহিরা বলেন, 'আমি একদিন এই নিয়ে কথা বলছিলাম যে, আমরা কেবল মহিলাদের জিজ্ঞাসা করি যে তাঁরা সন্তান ধারণ করলে, সবকিছু একসঙ্গে কীভাবে ম্যানেজ করবেন। আমি সত্যিই চাই যে আয়ুষ্মান এবং অন্যান্য পুরুষদেরও জিজ্ঞাসা করা হোক, আপনি কীভাবে বাড়িতে দু'টি বাচ্চা নিয়ে তিনটি ছবির কাজ করছেন। তাঁদেরও একই অপরাধবোধ বোধ হওয়া উচিত, যার শিকার একজন নারীকে ক্রমাগত হতে হয়।'
তিনি আরও বলেন, 'নারীরা এমন ভাবে সংসার শব্দটার সঙ্গে জড়িয়ে যে, তাঁরা সবসময়ই কাজকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য অপরাধ বোধ করেন। আমি আমার বাচ্চাদের প্যারেন্ট-টিচার মিটিং-এ না গিয়ে একটি কাজের মিটিং বেছে নিয়েছিলাম। আমার মনে আছে একটি কনফারেন্সের কারণে আমি আমার ছেলের প্রথম পারফরম্যান্স মিস করেছিলাম।'
আরও পড়ুন: শুধু সোনাক্ষী নন, তাঁর হবু বরও বি-টাউনে পা রাখেন সলমনের হাত ধরে! জানেন কীভাবে? দেখে নিন
তাহিরার মতে কেবল মহিলা নন, পুরুষদের দিকেও সমাজের এই প্রশ্নগুলি তুলে ধরা উচিত। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমি শুধু জানতে চাই যে পুরুষরা কীভাবে এইসব কিছুর বাইরে। এই প্রশ্নগুলি তাঁদের বারবার জিজ্ঞাসা করা উচিত যে কেন তাঁরা অপরাধ বোধ করেন না। তা না হওয়া পর্যন্ত আমাদেরও জিজ্ঞাসা করা উচিত নয়, কারণ নারীরা নিজে থেকেই অপরাধবোধে ভোগেন।'