তৈমুর আর ছোট নেই। এবার বড় দাদা সে। রবিবার করিনা জন্ম দিয়েছেন পুত্র সন্তানের, ছোট ভাই এসেছে তৈমুরের। দারুণ খুশি সে। কার্যত লাফাতে লাফাতেই এদিন হাসপাতালে পৌঁছাল সইফিনার প্রথম সন্তান।
পতৌদির নবাব পরিবারে নতুন সদস্যের আগমনে খুশির জোয়ার সোশ্যাল মিডিয়ায়। আনন্দে ভাসছেন কাপুর ও খান পরিবারের সকল সদস্য। জানা গিয়েছে রবিবার ভোররাতে দক্ষিণ মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হন করিনা, এদিন সি-সেকশন ডেলিভারি হয়েছে অভিনেত্রীর।
এদিন গাড়ির ভিতর সবুজ মাস্কে মুখ ঢাকা তৈমুর লেন্সবন্দি হয়েছেন পাপারাতজিদের ক্যামেরায়। তৈমুর এদিন পরেছিল কালো টি-শার্ট এবং ব্লু ডেনিম। স্নিকার্ট পায়ে গটগটিয়ে হাসপাতালের ভিতরে ঢুকতে দেখা গেল টিমকে। টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে করিনার বাবা, অভিনেতা রণধীর কাপুর জানান, মা ও ছেলে একদম সুস্থ আছে।
সইফ-করিনার প্রথম সন্তান তৈমুর গত ডিসেম্বরেই চার পূর্ণ করেছে। এখন বড় দাদা সে, যদিও ইনায়ার জন্মের পরেই দাদা হওয়ার প্রাথমিক অনুভূতিটা পেয়েছিল তৈমুর। কিন্তু এবার একদম ঘরের ব্যাপার। গোটা বিষয় নিয়ে তাঁর কী প্রতিক্রিয়া? এব্যাপারে রণধীর জানান, ‘আর বলবে না.. ও তো লাফাচ্ছে! ভীষণ খুশি.. আমরা সকলেই খুব খুশি, মন থেকে সবার জন্য প্রার্থনা করছি’।
গত বছর অগস্টে যৌথ বিবৃতি দিয়ে দ্বিতীয় সন্তানের আগমনের কথা জানিয়েছিলেন সইফ-করিনা। তারকা দম্পতির প্রথম সন্তান তৈমুর, জন্মের পর থেকেই সংসাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ার নয়নের মণি। এবার তৈমুরের ভাইকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দেওয়ার পালা। ২০১২ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েন সইফ-করিনা। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে তৈমুরের জন্ম দেন বেবো। তৈমুরের জন্ম হয় ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে। দু মাস আগেই চার পূর্ণ করেছে তৈমুর। আর এবার দাদা হল ছোট্ট তৈমুর আলি খান। দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের পর মাসখানেকের বিরতি নিয়ে শীঘ্রই কাজে ফিরবেন বলে আগেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী।