তৈমুর আলি খানের 'ন্যানি' বলেই তিনি পরিচিত। নাম ললিতা ডি'সিলভা, পেশায় তিনি আসলে পেডিয়াট্রিক নার্স। সম্প্রতি, অনন্ত আম্বানির বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার পর থেকেই তিনি পরিচিতি লাভ করেছেন। এরপরই জানা যায়, একসময় আম্বানি পরিবারের হাত ধরেই তিনি প্রথম বাচ্চাকে দেখাশোনার কাজ শুরু করেছিলেন। সর্বপ্রথম ছোট্ট অনন্তের দেখাশোনা করতেন তিনি। সম্প্রতি পিঙ্কভিলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের কাজ সহ নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন পেডিয়াট্রিক নার্স ললিতা ডি'সিলভা।
সাক্ষাৎকারে তৈমুর আলি খান ও জাহাঙ্গীর আলি খানের ন্যানি হিসাবে কাজ করার সময় ললিতা ডি'সিলভা নিজের পারিশ্রমিক/মাসিক বেতন নিয়েও কথা বলছেন।
ললিতার পারিশ্রমিক
একসময় সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে, করিনা ও সইফ নাকি ন্যানি ললিতা ডি'সিলভাকে ২.৫ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক দিতেন। সাক্ষাৎকারে ললিতা যখন একথা বলা হয়, তখন তিনি বলেন, ‘আড়াই লক্ষ টাকা! আশাকরি একথা যেন সত্যি হয়। আসলে এইসবই গুজব।’ ললিতা বলেন, যখন এই গুজব রটেছিল, তখন তিনি নাকি একথা করিনাকে বলেওছিলেন। আর সেকথা শুনে করিনা তাঁকে বলেন, ‘এসবই রসিকতা বোন, এগুলো সিরিয়াসলি নেবেন না।’
এর আগে হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ললিতা বলেছিলেন, 'করিনা একজন অসাধারণ মা, তিনি খুবই নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে দিয়ে চলেন, তাঁর সন্তানরাও একই রকম হয়েছে। সইফও তাঁর সন্তানদের খুব সুন্দরভাবে বড় করে তুলছেন।
তৈমুরকে নিয়ে শুরুর দিকে লোকজন ও মিডিয়ার আগ্রহ উন্মাদনা প্রসঙ্গে ললিতা ডি'সিলভা বলেছিলেন,'জনগণ এবং মিডিয়ার চাপ তো ছিলই। আমাকে লোকজনকে বলতে হত ইয়ে বাচ্চা হ্যায়', ওকে তাড়া করো না, আপনারা কেন এমন আচরণ করছেন!' ললিতার কথায়, ‘আমাকে অন্যান্য মায়েদের বলতে হত আমি জানি তৈমুর খুব কিউট, ওর বাবা-মাও খুব সুন্দর এবং হ্যান্ডসাম, তবে আপনারওন নিজেদের বাচ্চাদের এভাবে যত্ন নিন, আপনার নিজের বাচ্চাদের ছবি তুলুন। সে সময়টা আমার সবকিছু সামলাতে চাপ তো হয়েছেই তবো আমি সামলে নিয়েছি। তবে সেসময় সত্যিই তৈমুরের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকতাম। ভাবতাম, ও শিশু, ওকে এসব থেকে দূরে রাখা উচিত।’
সম্প্রতি আরও এক ইউটিউব চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ললিতা সইফ-করিনার পরিবার সম্পর্কে বলেন, ‘ওরা খুবই সাধারণ মানুষ। সকালের রুটিন হল, ওই বাড়ির কর্মী, কারিনা এবং সইফ সবাই একই খাবার একসঙ্গেই খান । এমন নয় যে কর্মীদের জন্য আলাদা খাবার হত। একই খাবার এবং একই মানের।’ যেকোনও অনেক অনুষ্ঠানেও সকলে একসঙ্গে একই খাবার খেত। আমিও ওদের সঙ্গেই বসে খেতাম।'