সইফ আলি খান ও করিনা কাপুরের বড় সন্তান তৈমুর আলি খান জন্মের পর থেকেই ছিল নেটপাড়ার হট ফেভারিট। আর একইসঙ্গে তার ন্যানিও। কতই না খবর এই ললিতা ডি'সিলভাকে নিয়ে। বর্তমানে এক পডকাস্টে পতৌদি পরিবারের অনেক অজানা কথা ভাগ করে নেন তিনি।
কথায় কথায় করিনা ও সইফকে মাটির মানুষ বলে উল্লেখ করেন ললিতা। জানান, বাড়ির সদস্য সিফ-করিনা যে খাবার খান, সেই খাবারই খান সব হাউজহেলপরা। এমনকী, অনেকসময় একসঙ্গে বসে খাবার খেয়েছেন বলেও জানান তিনি।
এর আগে এক সাক্ষাৎকারে করিনাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, খাবার টেবিলে বাচ্চার ন্যানিদের থাকা একটি অন্যতম নিয়ম। আর এটা তাঁরা করেছেন জেহ আর তৈমুরের অনুরোধেই।
আরও পড়ুন: অ্যানিম্যালের সেক্স সিন এখনও হিট! অ্যানিম্যাল পার্কও কি সেরকম, মুখ খুললেন ‘ভাবি ২’ তৃপ্তি দিমরি
ললিতা এই পডকাস্টেই উল্লেখ করেছেন যে, সইফ আলি খান একজন চমৎকার রাঁধুনি। প্রায়ই পতৌদি পরিবারের সফরের সময় খাবার তৈরি করেন। তিনি লাল মাস তৈরিতে সইফের বিশেষ দক্ষতার কথাও তুলে ধরেন। একইসঙ্গে সুস্বাদু স্প্যাগেটি, পাস্তা এবং অন্যান্য ইতালীয় খাবার রান্না করার অসাধারণ দক্ষতার কথা ভাগ করলেন ললিতা।
আরও পড়ুন: বউকে ‘মদ্যপ’ বলা ঋষির মুখে হঠাৎ হাসি, দেবযানীর সঙ্গে ডিভোর্স-চর্চা কেবলই প্রোমোশন?
এমনকী নিজের আড়াই লাখ টাকা মাইনের খবরেও দেন প্রতিক্রিয়া। জানান, তাঁকে নিয়ে হওয়া এই গুঞ্জন তিনি দেখিয়েছিলেন করিনাকে। আর তা দেখে, জেহ-তৈমুরের মা হেসে জবাব দিয়েছিল, ‘এগুলো সব মস্করা সিস্টার, এগুলোকে সিরিয়াসলি নিও না।’
আরও পড়ুন: ‘কর্তার ইগো মেটানোর ফাঁদে পা…’, টলিউডের ঝামেলায় প্রসেনজিৎকে কেন নিশানা রাণার?
তৈমুরের আগে কেরিয়ারের শুরুর দিকে আম্বানি পরিবারেও কাজ করেছিলেন মমতা ডিসিলভা। ছোট ছেলে অনন্তর ন্যানি ছিলেন তিনি। এমনকী, অনন্ত-রাধিকার রিসেপশন পার্টিতেও গিয়েছিলেন। এই পডকাস্টেই ললিতাকে বলতে শোনা যায়, তৈমুরের কাজ করার সময় তাঁর মুখ রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়। ফলে ট্রেনে করে যখন বাড়ি ফিরতেন, তখনও রাস্তার লোক ঘিরে ধরত সেলফির জন্য। মুখে মাস্ক পরে থাকতে হত।
তবে ললতিা এটাও জানান, তিনি কোনও ‘আয়া’ নন, তিনি পেডিয়াট্রিক নার্স। এই কারণে তৈমুরের ন্যানি-- এই পরিচয়ে আপত্তি রয়েছে তাঁর। এমনকী, পাপারাজ্জিদের সামনে তা তুলেও ধরেছেন বহুবার। তবে কেউ তা বুঝতে চায়নি।