অবশেষে পাপারাতজিদের উপর রাগ কমল সইফিনা পুত্রের। গত কয়েকদিন ধরেই ক্যামেরার ফ্ল্যাশ দেখলেই বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল তৈমুরকে। এমনকি সোজাসুজি কড়া ভাষায় ছবি তোলা বারণ এমন কথাও বলতে শোনা গিয়েছে তৈমুরকে। ‘নো ফটো’ , ‘নট অ্যালাউড’-এর মতো শব্দ বেরিয়ে এসেছে মাত্র চার বছর বয়সী এই খুদে তারকার মুখ থেকে। এমনকি কয়েক দিন আগে পাপারাতজিদের ভেংচি কাটতে, লাথি ছুঁড়তেও দেখা গিয়েছিল তৈমুরকে। তবে ক্রিসমাসের আনন্দে চনমনে মুডে তৈমুর।
এদিন কাপুর পরিবারের ঐতিহ্যবাহী ক্রিসমাস লাঞ্চে একত্রিত হয়েছিল গোটা পরিবার। সেই পার্টিতেই হাজির ছিলেন সইফিনা ও তৈমুর। পৌঁছেছিলেন রণবীর-আলিয়া সহ কাপুর পরিবারের অন্য সকল সদস্যরাও। এদিন সইফ ও তৈমুরকে দেখা গেল পছন্দের সাদা রঙের কুর্তা-পাজামায়। অন্যদিকে সবুজ-সোনালি রঙের কুর্তা ও একই রঙের চুড়িদারে পাওয়া গেল অন্তঃসত্ত্বা করিনাকে।
এদিন পাপারাতজিদের দেখে বাবা সইফ নিজের মুখের মাস্ক খুলে ফেলতেই একই কাণ্ড করল তৈমুর। টিমের এই সুপারকুল অবতার দেখে বেজায় খুশি হন পাপারাতজিরাও। সকলেই টিমকে ক্রিসমাসের শুভেচ্ছা জানান। ছেলের কাণ্ড দেখে হাসি চাপতে পারেননি সইফ-করিনাও। করিনাও এদিন নিজের মুখের মাস্ক কিছু সময়ের জন্য খোলেন।
যতই ব্যস্ত শেডিউল থাকুক না কেন, বছরের এই বিশেষ দিনটিতে একসঙ্গেই মধ্যাহ্নভোজ সারে গোটা কাপুর পরিবার। এদিন কাপুর পরিবারের হবু বউমা আলিয়া ভাটকে রণবীরের হাত ধরে পার্টিতে প্রবেশ করতে দেখা গেল। সবুজ রঙের হাঁটু পর্যন্ত লম্বা ড্রেস এবং সান্তা টুপিতে পাওয়া গেল আলিয়াকে, রণবীর সেজেছিলেন ক্যাজুয়াল টি-শার্ট এবং প্যান্টে।
করিশ্মা কাপুর দুই সন্তান কিয়ান ও সামাইরাকে নিয়ে পার্টিতে হাজির ছিলেন। চর্চিত বান্ধবী তারা সুতারিয়াকে নিয়ে কাপুর খানদানের লাঞ্চে হাজির হন বাড়ির অপর ছেলে আধার জৈন। নতুন বছরে কাপুর পরিবারে বিয়ের সানাই যে বাজতে চলেছে সে কথায় ইতিমধ্যেই সিলমোহর দিয়ে দিয়েছেন রণবীর। এখন অপেক্ষা রণবীর-আলিয়ার বহু প্রতীক্ষিত বিয়ের।