তৈমুরের প্রাক্তন আয়া ললিতা ডি'সিলভা এটা জেনে হতবাক যে দুঃস্বপ্নের ওই রাতে রক্তেভেজা সইফকে নিয়ে অটোয় চেপে হাসপাতালে পৌঁছেছিল তাঁর ৮ বছরের শিশুপুত্র তৈমুর। আরও পড়ুন-‘আবার ওকেই বিয়ে করতে চাই…’, মিঠুনের সঙ্গে ভাঙে বিয়ের পাকা কথা, মমতা শঙ্করের স্বামীকে চেনেন?
কোলেপিঠে করে তিনি মানুষ করেছেন তৈমুরকে। সইফিনার পুত্রের এই সাহসিকতায় ‘শকড’ ললিতা। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তৈমুর তার আব্বার মতোই সাহসী হবে। ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ললিতার কাছ থেকে দুর্ঘটনার শোনবার পরের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়, সেই সঙ্গে সইফকে তৈমুরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা এবং বাড়িতে ক্যামেরা লাগানো আছে কি না, তাও জানতে চাওয়া হয় তাঁকে। ললিতা নিশ্চিত করেছেন যে তিনি যখন কাজ করতেন তখন তৈমুরের ঘরে সিসিটিভি ছিল।
ললিতা জানান, ‘ছোট্ট তৈমুর তার বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় আমি সত্যিই অবাক হয়েছি। এই বয়সে শিশুটির মানসিকতা এতটাই দৃঢ় হতে পারে, যা অকল্পনীয়... ওই ব্যক্তি কোথা থেকে এসেছে, কীভাবে ঢুকেছে সে সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই। এটা সত্যিই একটা সারপ্রাইজ। কেউ ঢুকে এমন কাজ করবে, তা কেউ জানবে কী করে? অনেক অফিসার কাজের জন্য আসা-যাওয়া করছেন। আপনারা বাইরের ভবনটি দেখেছেন। তিনি কীভাবে ঢুকলেন জানি না। এটা সত্যিই সবার জন্য বড় বিস্ময়।’
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর সাইফকে সুস্থ দেখাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ও একটা সিংহের মতো। তিনি একজন নবাব, সর্বোপরি... ওর শরীরে রাজরক্ত বইছে। আমি সইফ স্যারকে শ্রদ্ধা করি- ভেতরে ও বাইরে কী দৃঢ় ব্যক্তিত্ব। তৈমুরেরও দৃঢ় ব্যক্তিত্ব আছে, সে তার আব্বার মতোই শক্তিশালী হবে। তার বাবা-মা খুব শক্ত মনের মানুষ। কারিনা ম্যাডামও খুব ঠাণ্ডা মাথার মহিলা; তিনি এত শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং সেই কারণেই তিনি এত শক্তিশালী’।
আয়া আরও জানিয়েছেন যে সইফ এবং কারিনা কাপুর সর্বদা তাদের বাচ্চাদের স্বাভাবিকভাবে বড় করতে চেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কোনও সেলিব্রিটির বাচ্চা, বা কোনও বড় সুপারস্টারের বাচ্চা হিসাবে তৈমুর-জেহকে বড় করতে চাননি ওরাঁ'।
গত ১৬ জানুয়ারি সইফ ও তার স্ত্রী কারিনা কাপুরের বাড়িতে ঢোকে এক দুষ্কৃতী। পরিবার ও স্টাফদের বাঁচাতে গিয়ে জখম হন সইফ। ছয়বার তাঁর উপর ছুরির কোপ বসায় বাংলাদেশি নাগরিক শরিফুল। করিনা এবং তাঁদের দুই ছেলে তৈমুর ও জেহ তখন বাড়িতেই ছিলেন। জেহর ঘরেই প্রথম দেখা যায় ওই চোরকে।
ললিতা ডি'সিলভা এর সম্পর্কে
ললিতা তারকা সন্তান তৈমুর এবং জেহর দেখভালের জন্য জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। বর্তমানে তিনি অভিনেতা রাম চরণ এবং তাঁর স্ত্রী উপাসনা কোনিদেলার মেয়ের ন্যানি হিসাবে কাজ করছেন। ছোটবেলায় অনন্ত আম্বানির দেখাশোনাও করেছে ললিতা। শুধু অনন্ত নয়, ইশা ও আকাশেরও যত্ন নিয়েছেন। আম্বানি পরিবারের সঙ্গে আজও অটুট তাঁর সম্পর্ক। অনন্ত-রাধিকার বিয়েতেও হাজির ছিলেন তিনি।