সোশ্যাল মিডিয়ায় লাগাতার ট্রোলিং ও বুলিংয়ের শিকার হয়ে আত্মহননের মতো চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন জনপ্রিয় তামিল অভিনেত্রী বিজয়া লক্ষ্মী। আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি চাঞ্চল্যকর ভিডিয়ো পোস্ট করেন অভিনেত্রী। যেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, গত কয়েক মাস ধরে ব্যাপক মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। নাম তমিজার নামের একটি দলের অনুগামী এবং তাঁদের নেতা সীমানের লাগাতার কটূক্তি শুনছে হচ্ছে তাঁকে। সীমানের উপর মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ আনেন এই অভিনেত্রী।
রবিবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিয়োয় সীমান এবং রাজনৈতিক দল পানানকাট্টু পদাইয়ের হরি নাদারেরকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানান তাঁকে শুধুমাত্র মতাদর্শের পার্থক্যের কারণে লাগাতার হেনস্থা করবার জন্য। তিনি বলেন, এটাই হতে চলেছে আমার শেষ ভিডিয়ো। আমি মারত্মক চাপে রয়েছে গত চার মাস ধরে। সীমান এবং তাঁর দলের লোকজনের জন্য। আমি বাঁচবার অনেক চেষ্টা করেছি আমার মা এবং বোনের জন্য। কিন্তু বারবার আমাদে মিডিয়াতে অপদস্থ করা হচ্ছে হরি নাদারের দ্বারা। আমি বিপি (ব্লাড প্রেসার)র ট্যাবলেট খেয়ে নিয়েছি। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই আমার রক্তচাপ চমে যাবে এবং আমি মারা যাব'। তিনি যোগ করেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় বারবার সীমান তাঁর চরিত্র নিয়ে কাটাছেঁড়া করছে। তিনি বলেন আমার মৃত্যু যেন অনেকের চোখ খুলে দেয় আমি এটাই চাই। 'কারুর গোলাম হয়ে আমি বাঁচতে চাই না'। এই ভিডিয়ো দেখামাত্রই তাঁকে উদ্ধার করে অভিনেত্রীর বোন উষা এবং সহ অভিনেত্রী গায়েত্রী রঘুরাম। জানা গিয়েছে তাঁকে এই মুহূর্তে চেন্নাইয়ে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর পরিস্থিতি স্থিতিশীল।
ফ্রেন্ডস, বস ইনগিরা বসকরণের মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন বিজয়া লক্ষ্মী।সম্প্রতি সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিলেন অভিনেত্রী। অভিনেতা তথা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সীমানের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ এনেছিলেন বিজয়া। তারপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় লাগাতার হুমকি, তথা ট্রোলিং ও বুলিংয়ের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে।