নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন থালাইভা রজনীকান্ত। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে টুইট করে দেশের নানান প্রান্তে ঘটে চলা হিংসাত্মক ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন দক্ষিণ ছবির এই সুপারস্টার।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের পক্ষে না বিপক্ষে সে ব্যাপারে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন নি রজনীকান্ত। তবে জানান, ‘হিংসা কোনও সমস্যার সমাধান হতে পারে না’।
‘ভারতীয় নাগরিকদের দেশের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে উচিত সজাগ এবং সংঘবদ্ধ হওয়া। আমি অত্যন্ত দুঃখিত গোটা দেশে ঘটে চাল হিংসার ঘটনায়’, টুইটারের দেওয়ালে লেখেন রজনীকান্ত। রজনীকান্ত এই ইস্যুতে নিজের মন্তব্য রাখার পর থেকেই দ্বিধাবিভক্ত নেটিজেনরা। এই সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে দু’টি হ্যাশট্যাগ- #ShameOnYouSanghiRajini এবং #IStandWithRajinikanth।
প্রথম পক্ষের বক্তব্য, রজনীকান্ত কেন্দ্র সরকারে খুশি করে নিজের স্বার্থসিদ্ধির কথা ভাবছেন তাই দেশজুড়ে সিএএ-র বিরুদ্ধে চলা আন্দোলনের উলটো সুর শোনা যাচ্ছে রজনীর গলায়। দ্বিতীয় পক্ষ অবশ্য বলছে, থালাইভা তো ঠিক কথাই বলেছেন। হিংসা দিয়ে কখনই কোনও সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।
তামিলনাড়ুরর বিরোধী দল ডিএমকে-সুপ্রিমোর পুত্র তথা অভিনেতা উদয়নিধি স্ট্যালিন রজনীকান্তকে একহাত নিলেন তাঁর এই মন্তব্যের জন্য। টুইট বার্তায় উদয়নিধি স্ট্যালিন লেখেন, ‘২৩ ডিসেম্বর সিএএ বিরোধী প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দিতে সমাজের সর্বস্তরের মানুষদের আহ্বান জানাচ্ছি, যার নেতৃত্ব দেবেন ডিএমকে প্রধান এমকে স্ট্যালিন। পাশাপাশি বড়োলোক বুড়োদের দয়া করে সুরক্ষিত অবস্থায় বাড়িতে রেখে আসুন। কারণ তারা আমাদের অধিকার রক্ষার লড়াইকে হিংসার নাম দিচ্ছে’।
উল্লেখ্য, রজনীকান্তের বন্ধু তথা মাক্কাল নীধি মাইনম প্রধান কমল হাসান প্রকাশ্যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধীতা করেছেন। ডিএমকে-র প্রতিবাদ মিছিলেও তাঁর দল সামিল হবে, আগেই জানিয়েছেন তিনি। কমল হাসান এই আইনকে সংবিধানবিরোধী এবং সাম্প্রদায়িক আইন বলে উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টেরও দারস্থ হয়েছেন।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধীতায় গত কয়েকদিন ধরেই দেশজুড়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। সিএএ-এনআরসির প্রতিবাদ-বিক্ষোভে বৃহস্পতিবারই ম্যাঙ্গালুরুতে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। উত্তর প্রদেশে এখনও পর্যন্ত মৃত ১১ জন, অসমে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের।